বর্তমানে ওমিক্রন সমগ্র বিশ্বের পাশাপাশি দেশেও কাছেও দৃশ্যমান। এমতাবস্থায় সবাই নিজেদের এবং তাদের প্রিয়জনকে রক্ষা করার জন্য চিন্তিত।
এমন সময়ে আপনার শরীরের বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। এমন কোন পদার্থ যা খেলে আপনি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে পারবেন।
খেজুর : খেজুর যা মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রকৃতির বর। আজ আমরা আপনাকে এর উপকারিতা সম্পর্কে বলব।
খেজুরে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি, সোডিয়াম, ডায়েটারি ফাইবার, প্রাকৃতিক চিনি, প্রোটিন, ভিটামিন ডি, আয়রন এবং পটাসিয়াম। খেজুর খেলে সব ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।
কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরের কোষকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়।
কিশমিশ: রসালো আঙ্গুর শুকিয়ে তৈরি করা হয় একে আঙুর বলে। আঙুর খেতে খুবই উপকারী ও সুস্বাদু। কিশমিশে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম পাওয়া যায়।
যা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। ভেজানো কিশমিশ ওজন কমাতে কার্যকরী। কিশমিশে ভিটামিন সি এবং বি উভয়ই রয়েছে।
এ ছাড়াও এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যও পাওয়া যায়। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। কিশমিশের জল পান করলে পেট পরিষ্কার থাকে।
কিশমিশ শুধু আমাদের রোগ থেকে দূরে রাখে না শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। কিশমিশে উপস্থিত ফাইবার পেটে রেচক প্রভাব দেয়, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়।
যদি ক্রমাগত গলা ব্যথা থাকে বা বমি বমি ভাবের কারণে গলায় সমস্যা থাকে তবে সকাল-সন্ধ্যায় ৪-৫ টি কিসমিস খেতে হবে। ঠাণ্ডা ও ফ্লু হলে রাতে ঘুমানোর আগে দুধে ২-৩ টি কিসমিস সিদ্ধ করে খান।
শুকনো ফল ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। যেহেতু শীতের মাস চলছে এবং ওমনিক্রনের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে তাই আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া উচিৎ।
বেদানা এবং খেজুর উভয়ই আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুণ দ্রুত বৃদ্ধি করবে এবং আপনাকে সমস্ত ধরণের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম করবে।
No comments:
Post a Comment