দই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, কিন্তু গ্রীষ্মের মৌসুমে অন্যান্য পদার্থের তুলনায় দই খাওয়া আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী হবে। বিশেষ করে যাদের হৃদরোগ আছে, চিকিৎসকরা তাদের দই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, সাধারণত হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে দই খাওয়া হয়, তবে এর রয়েছে আরও অনেক অসাধারণ উপকারিতা। তাই রাতে দই খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
গরমে দই খাওয়ার আশ্চর্যজনক উপকারিতা
১. দই ওজন কমাতে সহায়ক:
দই আপনার ওজন কমাতে সহায়ক। ওজন কমানোর জন্য এটিকে অন্যতম সেরা খাবার হিসাবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এটি আমাদের শরীরে কর্টিসল এবং স্টেরয়েড হরমোনের বৃদ্ধি রোধ করে, যা কোথাও কোথাও স্থূলতার বর্ধিত ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় দই:
দই একটি দুর্দান্ত প্রোবায়োটিক খাবার, যা আমাদের অন্ত্রের জন্য দুর্দান্ত বলে মনে করা হয়। দই রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর সাথে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে কারণ এর কিছু সক্রিয় গুণ রয়েছে, যা জীবাণুকে মেরে ফেলার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সুস্থ রাখতে কাজ করে।
৩. দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে:
দই শুধুমাত্র ক্যালসিয়ামেই সমৃদ্ধ নয়, এতে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাসও রয়েছে, তাই এই দুটি পুষ্টি উপাদানই আমাদের হাড়ের পাশাপাশি দাঁতের জন্য খুবই উপকারী। শুধু তাই নয়, দই আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
৪. দই হৃৎপিণ্ডের জন্যও স্বাস্থ্যকর:
দই কোলেস্টেরল তৈরিতে বাধা দেয় এবং এই কারণেই আপনি উচ্চ রক্তচাপ রক্তচাপের মতো অবস্থা থেকে দূরে থাকেন। এটি নিয়মিত ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করে উচ্চ কোলেস্টেরল স্তর এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি হ্রাস করা যেতে পারে। তাই আপনার হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
এ সময় দই খাবেন না:
দইয়ের স্বাদ হয় ঠান্ডা। তাই রাতে দই খেলে শ্লেষ্মা, স্থূলতা, ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। তাই রাতে দই খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
দই খাওয়ার সঠিক সময় কি?
সকালের জলখাবার ও রাতের খাবারের সঙ্গে সবসময় দই খাওয়া উচিত। দিনে দই খেলে শরীরের হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকে।
No comments:
Post a Comment