বাংলায় মানুষ প্রচণ্ড গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। এদিকে কাল বৈশাখীকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলাগুলোতে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, আবহাওয়া দফতরের মতে, বর্তমানে একটি দক্ষিণ-পশ্চিমী বায়ু দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে, যা উত্তরপ্রদেশ থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ তৈরি করছে। যার কারণে আগামী চার থেকে পাঁচ দিন রাজ্যে হালকা ও ভারী বৃষ্টির (বৃষ্টি পশ্চিমবঙ্গ) হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং কলকাতায়ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাঁচ দিনের জন্য রাজ্যে কোনও তাপপ্রবাহের সতর্কতা নেই। এতে রাজ্যের মানুষের মনে স্বস্তি এসেছে।
অন্যদিকে, কাল বৈশাখীতে গাছ পড়ে এবং বিদ্যুতের লাইন ভেঙ্গে যাওয়ায় শুক্রবার রাতে রেল ও সড়ক যান চলাচল ব্যাহত হয়।ঝড় ও বৃষ্টির কারণে কলকাতা ও শিল্পাঞ্চলে ট্রেন চলাচল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শুক্রবার গভীর রাতে পুরাতন মালদা যাওয়ার পথে গাছের একটি বড় ডাল পড়ে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখার রেল লাইন ও ওভারহেড তারে গাছের ডাল পড়ে যাওয়ায় ব্যাহত হয়েছে ট্রেন পরিষেবা। অনেক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে প্রবল ঝড়ে বহু এলাকা বিধ্বস্ত হয়েছে এবং গাছ উপড়ে মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছের ডাল ভেঙে নদীতে পড়ে রবীন্দ্রনাথ প্রামাণিক নামে ৬২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও একজন। শনিবারও রাজ্যের অনেক জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এপ্রিলের শেষ দিকে বৃষ্টির কারণে গত ১২২ বছরের রেকর্ড ভাঙা গরম থেকে রক্ষা পেয়েছে। এবার মার্চে বৃষ্টি হয়নি, এপ্রিল মাস প্রায় শেষ হলেও তার আগেই বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী চার-পাঁচ দিন বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
No comments:
Post a Comment