কলকাতা: ধর্ষণের পরে গর্ভবতী হওয়া ১৭ বছর বয়সী নাবালিকাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, গত ১৪ মার্চ মেয়ের গর্ভপাতের দাবীতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতার মা। নির্যাতিতার মা আদালতে আবেদন করেছিলেন যে, তার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছিল, তারপরে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
এছাড়াও তিনি জানান, নাবালিকা থ্যালাসেমিয়া রোগী। এমন পরিস্থিতিতে সন্তান জন্ম দেওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। নাবালিকার মা আরও বলেন যে, তার মেয়ে বিয়ের আগে সন্তান জন্ম দেওয়ার কলঙ্ক সহ্য করতে পারবে না। তাই আদালতের উচিৎ গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া। এ আবেদনের স্বপক্ষে পরিবার আদালতে উপযুক্ত প্রমাণ পেশ করে।
আদালত বলে, নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষার পরই বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। এই জন্য, হাইকোর্ট নদিয়া জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে নাবালিকার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা পরীক্ষা করার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি এই গর্ভপাতে নাবালিকার কোনও ক্ষতি হবে কি না, তাও বোর্ডকে বিবেচনা করতে হবে।
এই বিষয়ে, ২৯ শে মার্চ জমা দেওয়া রিপোর্টে বোর্ড বলেছে যে, নাবালিকা শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ এবং গর্ভপাত তার কোনও ক্ষতি করবে না। কিন্তু এরপর শিশু কল্যাণ কমিটি ৫ এপ্রিল আদালতকে জানায় যে নাবালিকা গর্ভপাত করতে নারাজ। তার মা তাকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করছেন।
No comments:
Post a Comment