শুক্রবার সহিংসতার পর পাঞ্জাবের পাতিয়ালায় উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতির ভয়াবহতার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার শহরে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে এ বিষয়ে ৪টি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে সহিংসতার প্রতিবাদে শহর বনধের ডাক দিয়েছে একাধিক সংগঠন। পাতিয়ালায় খালিস্তান বিরোধী সমাবেশ চলাকালীন কালী মন্দিরের বাইরে দুটি গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় দুই পুলিশসহ চারজন আহত হয়েছেন।
পাতিয়ালা জেলা প্রশাসক শহরের মানুষকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি জানান যে ঘটনার বিষয়ে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং পুলিশ ক্রমাগত গেরিলা অ্যাকশন চালাচ্ছে।
এর আগেও জেলায় ১১ ঘণ্টার কারফিউ জারি করেছিল পুলিশ। ঘটনার একদিন পর পাতিয়ালার আইজি রাকেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পাতিয়ালা বনধের ডাকের মধ্যেই সিং সর্বভারতীয় নিরাপত্তা কমিটির প্রধান গিরিজির সঙ্গে দেখা করেছেন। হিন্দু সংগঠনগুলো ক্রমাগত ঘটনার বিরোধিতা করে আসছে এবং 'খালিস্তান সমর্থকদের' গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছে।
শিবসেনা 'খালিস্তান মুর্দাবাদ মার্চ' আয়োজন করেছিল। এ সময় দলটির কিছু নিহঙ্গসহ শিখ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এরপর দুই গ্রুপের মধ্যে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটে এবং স্লোগান দেওয়া হয়। ঘটনার পর শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত পাতিয়ালা জেলায় কারফিউ জারি করা হয়। এলাকায় ভারী পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, শিবসেনা হিন্দুস্তান নামে একটি সংগঠনের পবন গুপ্তা বলেছেন যে খালিস্তান সমর্থকরা মন্দিরে হামলা চালিয়েছে। তিনি মন্দির অপবিত্র করার অভিযোগ তুলেছেন। এখানে সংঘর্ষের পর কার্যনির্বাহী সভাপতি হরিশ সিংলাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে শিবসেনা। এসএসপি সিং বলেছেন যে এই প্রতিবাদ সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এই ঘটনার পরই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখন পুলিশের তিন শীর্ষ আধিকারিককে বদলি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আইজি আগরওয়াল ছাড়াও এসএসপি সিং এবং এসপি ওয়াজির সিংয়ের নাম রয়েছে।
No comments:
Post a Comment