অর্জুন সিংয়ের গলায় বিদ্রোহের সুর। এরই মধ্যে বিক্ষুব্ধ অর্জুনকে দিল্লীতে তলব কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। উত্তর ২৪ পরগণার ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অসন্তোষ দূর করার প্রচেষ্টা শুরু বিজেপির। তিনি বাংলার পাটকলের অবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের ওপর ক্ষুব্ধ। এরইমধ্যে তাকে শনিবার দিল্লীতে ডেকে পাঠানো হল। সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেই অনুযায়ী শনিবার বিকেলে দমদম বিমানবন্দর থেকে দিল্লীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন অর্জুন সিং। অর্জুন সিং রাজ্যের জুট মিলের অবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং পীযূষ গোয়ালকে নিশানা করেছিলেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে আন্দোলন করার ঘোষণা করেছিলেন।
দিল্লী যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল নিজেই ফোন করেছেন, তাই আমি দিল্লী যাচ্ছি।" আজ রাতে পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, "আমি জানি না পীযূষ গোয়াল নিজে ডাক দিয়েছেন নাকি দল চাপ সৃষ্টি করেছে, তবে পশ্চিমবঙ্গের পাট শিল্পকে বাঁচানো আমাদের জীবন-মরণের বিষয়।" তিনি বলেন, "পাট শিল্প রাষ্ট্রের ঔপনিবেশিক পরিচয়। কেন্দ্রের অবহেলায় যদি এই শিল্প বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে মানুষ আমাদের সমর্থন করবে কেন?" তৃণমূলে ফেরার জল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে অর্জুন সিং বলেন, "তৃণমূলে ফেরা বা না ফেরার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। শুধু বলবো আমি আমার জনগণের সমস্যার কথা বলছিলাম। পাটকলের সমস্যার কথা নিয়ে বলছিলেন। তিনি কি বোঝাতে চেয়েছিলেন তা আমি কেন স্পষ্ট করব?"
পাট শিল্পের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের কথিত নেতিবাচক মনোভাবের ভিত্তিতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কথা বলা অর্জুন সিং এখন চার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জুট কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যগুলি আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল। অর্জুন সিং শুধু বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেই নয়, বিহার, উড়িষ্যা, ত্রিপুরা, আসামের মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপি সাংসদদেরও চিঠি লিখেছিলেন। তারা একসঙ্গে আন্দোলন করার কথা বলেছিলেন।
No comments:
Post a Comment