বাংলার বেশ কয়েকটি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর শনিবার হলদিয়ার জনসভা থেকে বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি। তিনি বলেন, "আমি বলতে লজ্জিত যে, বিচার ব্যবস্থায় দু-একজন লোক আছে, যারা মিলেমিশে কাজ করছে। যদি কিছু হয়, আমরা সিবিআইকে নির্দেশ দিচ্ছি। খুনের মতো মামলায় স্থগিতাদেশ! অভিযুক্তদের সুরক্ষা দিতে পারবেন?" এর পাশাপাশি, তৃণমূল সাংসদ দাবী করেছেন যে "যদি তৃণমূল তাদের দরজা খুলে দেয়, তবে বাংলা থেকে বিজেপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।"
সিবিআই ও ইডিকে তলব করায় বিজেপিকে নিশানা করলেন অভিষেক ব্যানার্জি। তাঁর দাবী, তৃণমূল 'দরজা' খুলে দিলে এ রাজ্যে বিজেপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
শনিবার হলদিয়ায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করেই আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, “যার নির্দেশে উত্তর কলকাতায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছিল। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে, ইডি-সিবিআইয়ের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পূর্ব মেদিনীপুরের আবেগ কেন্দ্রের কাছে বিক্রি করেছেন স্থানীয় এক নেতা। মেদিনীপুরের আবেগ নিয়ে খেলা। শ্যামা প্রসাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, যিনি একসময় নিজেকে জেলার প্রধান বলে দাবী করেছিলেন, তিনি এখন ইডি, সিবিআইয়ের হাত থেকে পিঠ বাঁচাতে দিল্লীর আশ্রয় নিচ্ছেন।"
অভিষেক ব্যানার্জি বলেন, “ইডি-সিবিআই আমাকে দুবার দিল্লীতে ডেকেছে। আমি দুবার দিল্লী গিয়েছি। তাকে হারিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আপনি যে ভাষা বোঝেন আমি সেই ভাষায় কথা বলি।” অভিষেক বলেন, “আপনি হেরে গেছেন এবং এখন আপনি বারবার সিবিআই-ইডি-র মাধ্যমে আমাকে দিল্লীতে ডাকছেন, যাতে দিল্লীর সামনে বাংলা মাথা নত করতে পারে। আমরা দরজা খুললে বিজেপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।" বিধানসভা নির্বাচনের পর বাংলায় বিজেপিতে তোলপাড় চলছে। সম্প্রতি বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তার আগে, পাঁচজন বিজেপি বিধায়ক এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment