মুরগির লিম্ফয়েড লিউকোসিস জটিল রোগ সাধারণত ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয়। তাই চার মাস বয়স থেকে যেকোনও বয়সের মুরগির মধ্যে এ রোগ দেখা যায়। লিম্ফয়েড লিউকোসিস এভিয়ান লিউকোসিস ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট পোল্ট্রির একটি নিউওপ্লাস্টিক রোগ।
এই রোগটি বি-সেল লিম্ফোমা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যা প্রায় 16 সপ্তাহ বা তার বেশি বয়সের মুরগির মধ্যে দেখা যায়। রোগ নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে ইতিহাস, ক্লিনিকাল লক্ষণ, গ্রস নেক্রোসিস এবং হিস্টোপ্যাথলজি। কোন প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন উপলব্ধ নেই, তাই মুরগির প্রজনন থেকে ভাইরাস নির্মূল করা সবচেয়ে কার্যকর নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি।
লিম্ফয়েড লিউকোসিসের ভূমিকা
রোগটির নাম লিম্ফয়েড লিউকোসিস কমপ্লেক্স।
রোগের ধরন ভাইরাল
এভিয়ান লিউকোসিস ভাইরাস নামক ব্যাকটেরিয়া
সংক্রামিত পোল্ট্রি
মৃত্যুর হার কম এবং নিয়মিত।
স্থানান্তর সময় 16 সপ্তাহ এবং তার বেশি।
কোনও প্রতিকার নেই।
রোগের প্রতিকার
রোগটি ডিমে আক্রান্ত মুরগিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং সুস্থ মুরগিতেও ছড়িয়ে পড়ে।
সংক্রামিত মুরগি লাল এবং মলের মাধ্যমে রোগ ছড়াতে পারে।
রোগের লক্ষণ
আক্রান্ত মুরগি হলুদ হয়ে যায়, ক্ষুধা হারায়, সম্পূর্ণ শুকিয়ে যায় এবং ডিম উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
পিটার্স গ্রিন স্যানিটারিতে প্রতি রাতে 500 মুরগির মধ্যে তিন থেকে চারটি মারা যায়।
কখনও কখনও কোনও লক্ষণ ছাড়াই প্রতি রাতে মুরগি মারা যায়।
শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বিশেষ করে লিভার ও প্লীহা বড় হয়ে যায়।
লিভারে নডিউল তৈরি হয়।
হৃদয়ে অসংখ্য সাদা গিঁট বা কোকুন দৃশ্যমান।
রোগ নিরাময়
এ রোগের কোনও চিকিৎসা নেই, আক্রান্ত মুরগি মেরে ফেলতে হবে বা পুড়িয়ে ফেলতে হবে বা মাটিতে পুঁতে দিতে হবে।
অনাক্রম্যতা
যেসব উৎস থেকে রোগ ছড়ায় সেগুলোকে প্রতিরোধ করা গেলে রোগের কোনও সম্ভাবনা থাকে না।মুরগির খামারগুলোতে সবসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
No comments:
Post a Comment