রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইতে গাইতে ফুটফুটে কন্যার জন্ম! - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday 12 May 2022

রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইতে গাইতে ফুটফুটে কন্যার জন্ম!


উত্তর ২৪ পরগনা: রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইতে গাইতে ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন মা, যা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল। দিনটি ছিল অক্ষয় তৃতীয়ার মতন বিশেষ একটি দিন। ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৮:০৪। একদিকে মায়ের গলায় তখন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জনপ্রিয় একটি গান "আমারও পরানও যাহা চায়, তুমি তাই গো', অন্যদিকে ডাক্তার-নার্স সকলের উপস্থিতিতে ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম। ইতিমধ্যেই সেই গান গাওয়ার দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।


ফুটফুটে কন্যা সন্তানের নাম রাখা হয়েছে দিব্যাংশী দাস।জানা যায়, আড়াই বছর আগে হাবড়া হাটথুবার বাসিন্দা সুস্মিতার সঙ্গে বিয়ে হয় হাবড়া জয়গাছি শ্রদ্ধানন্দ পল্লীর বাসিন্দা যুবক দেবাশীষ দাসের। চলতি মাসের তিন তারিখ সকালে অন্তঃসত্ত্বা সুস্মিতা দেবীকে মছলন্দপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। 


এরপরে শুভ সময়ের অপেক্ষা- একপ্রকার মানসিক চাপ কমাতে সুস্মিতা দেবীর সাথে বিভিন্ন মজার গল্প থেকে শুরু করে আড্ডার মধ্যে রাখার চেষ্টা করেন ডাক্তার থেকে নার্স সকলেই। হঠাৎ করে ডাক্তার বাবু জানতে পারেন সুস্মিতা দেবী মিউজিক্যালে অনার্স নিয়ে পাস করেছেন। তাই ডাক্তার বাবু থেকে নার্স সকলেই তার কাছে একটি রবীন্দ্র সঙ্গীত শোনানোর আবদার করেন। ওটি(প্রসব) চলাকালীনই কবি গুরুর গান গেয়ে ডাক্তার বাবুদের আবদার মেটালেন, সেই সাথে এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন মা সুস্মিতা দেবী।


তিনি এদিন আমাদের ক্যামেরার সামনে জানান, 'আমি আজ ভীষণ খুশি আমার মেয়ে হয়েছে। ওই দিনটির কথা কোনদিনও ভুলতে পারবো না, ভুলতে পারবোনা ডাক্তার-নার্সদের কথাও। তাইতো কবিগুরুর ১৬১ তম জন্মশতবার্ষিকীতে রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ডাক্তার নার্সদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেদিনের গান গাওয়ার বিশেষ মুহূর্তের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছি - ভালো সাড়াও পেয়েছি।'


মায়ের গলায় রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনেই পৃথিবীর আলো দেখেছেন মেয়ে, তাইতো মেয়ে বড় হলে মেয়েকেও রবীন্দ্র সঙ্গীত শেখাবেন বলে জানিয়েছেন মা। এদিন আমাদের ক্যামেরার সামনেও সেদিনের সেই মুহূর্তে যে রবীন্দ্র সঙ্গীতটি গেয়েছিলেন, সেই গানটি দু'কলি গেয়েও শোনালেন মা সুস্মিতা দেবী। গোটা ঘটনায় খুশি ফুটফুটে দিব্যাংশী দাসের বাবা দেবাশীষ দাসও।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad