জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) সভাপতি মেহবুবা মুফতি সোমবার শ্রীনগরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় জ্ঞানবাপী মসজিদ সার্ভে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র নিশানা করেছেন। মেহবুবা মুফতি বলেন, আপনি যেসব মসজিদের ওপর নজর রাখছেন, তার তালিকা আমাকে দিন। তারা এখন জ্ঞানবাপী মসজিদের পেছনে পড়ে আছে। এটা নেওয়ার পর কি সব ঠিক হয়ে যাবে? এক বছরে ২ কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন? সরকার বলেছিল, আমরা মূল্যস্ফীতি কমাব, গরীবদের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা দেব, এসব প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই তাদের কাছে। এখন জনগণের ধ্যান অন্য দিকে সরাতে হিন্দু-মুসলিম, এসব করছে।
পাশাপাশি মিডিয়াকে নিশানা করে মুফতি বলেন, মিডিয়া যে হিন্দু-মুসলিম করে, এতে এখানে দূরত্ব বাড়ে। পাশাপাশি কাশ্মীর ফাইলস নিয়ে কথা বলার সময়, মেহবুবা মুফতি বলেন, 'আমরা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করেছি। ২০১০, ২০১৬ সালে চরম অস্থিরতার সময় কোনও খুন হয়নি। কাশ্মীর ফাইলস ছবিটি এটিকে ট্রিগার করেছে।' তিনি বলেন, বিজেপি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে।' মেহবুবা মুফতি হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দূরত্বের জন্য 'কাশ্মীর ফাইলস'কে দায়ী করেছেন।
'PAGD, এলজি মনোজ সিনহার সাথে দেখা করে এবং আমরা 'কাশ্মীর ফাইলস' ছবিটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। এটিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়েছে। মুফতি বলেন, 'আমরা তাদের বলেছি, সাংবাদিক ও সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সরকার স্বেচ্ছাচারিতা করছে।
পিডিপি সভাপতি মেহবুবা মুফতি বলেন, 'কাশ্মীরের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা বেসামরিক লোকদের হত্যার পর কাশ্মীরে বিরাজমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছি।'
তিনি বলেন যে, 'আমরা এলজি সাহেবকে বলেছি, যতক্ষণ না আপনি কাশ্মীর নিয়ে প্রাক্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর নীতি গ্রহণ করবেন, ততক্ষণ রাহুল ভাটের মতো রক্তপাত ও হত্যাকাণ্ড এভাবেই চলতে থাকবে।'
তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিবাদী কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সাথে দেখা করার জন্য তাকে শেখপোরা বুদগামে যেতে দেওয়া হয়নি। মেহবুবা বলেন, 'কাশ্মীরি পণ্ডিতরা আমাদের সম্প্রদায়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিজেপি সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতিকে ক্ষোভ উস্কে দেওয়ার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।'
মেহবুবা বলেন, 'সরকার পর্যটনের অজুহাতে সামান্য স্থিতি দেখাচ্ছে। কাশ্মীর ফাইলস সিনেমার পর মানসিকতা বদলে গেছে। সারা দেশে মুসলমানরা নিরাপদ নয়। আমাদের ভুল লেবেল দিয়ে ট্যাগ করা হচ্ছে।'
No comments:
Post a Comment