জলপাইগুড়ি: রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে করা সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন তাঁর পুত্রবধূ। এমনই জানালেন বিধায়কের পুত্রবধূর আইনজীবী। পাশাপাশি দু'পক্ষ নিজেদের মধ্যেকার সমস্যা মিটিয়ে নিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলেও জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের পুত্রবধূ পিঙ্কি রায়, শ্বশুড়, শাশুড়ি ও স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, এমনই অভিযোগ নিয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন পিঙ্কি দেবী। কিন্তু তাতে কোনও ফল না মেলায় জলপাইগুড়ি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। এরপর আদালত রাজগঞ্জ থানাকে বিধায়ক সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়।
কিন্তু এরই মধ্যে 'কাহানী মে ট্যুইস্ট'! শনিবার পিঙ্কির আইনজীবীর বাড়িতে বিধায়ক খগেশ্বর রায় পারিবারিক কলহের বিষয়টি মিটিয়ে দিতে আলোচনায় বসেন।
পিঙ্কি রায়ের আইনজীবী সৌজিৎ সিংহ জানান, 'বিধায়কের পুত্রবধূ পিঙ্কি রায়ের অভিযোগ ছিল শ্বশুড় বাড়িতে বিয়ের পর থেকে তার ওপর নির্যাতন হয়ে আসছে। এরপরই স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরই মাঝে উভয় পক্ষ আলোচনায় বিসে বিষয়টি মিটিয়ে নিয়েছে। উভয় পক্ষই ভালোভাবে চলবে। পিঙ্কি তার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেবে আদালতের মাধ্যমে।'
আইনজীবী বলেন, 'আমি রাজনৈতিক ভাবে বিজেপি করি। খগেশ্বর রায় তৃণমূল কংগ্রেস করেন। রাজনৈতিক ভাবে একে অপরের বিরোধী হলেও আমি যেহেতু আইনজীবী, তাই আমার জায়গা থেকে উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়া হল। তারা ভালোভাবে সংসার করুক এটাই চাই।'
এদিন রাজগঞ্জের বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ির চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় বলেন, 'আমাদের ও পিঙ্কির আইনজীবীরা বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হল। আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে যে কেস করেছিল, তা প্রত্যাহার করে নেবে পিঙ্কি। আশাকরি সুখে শান্তিতে তারা সংসার করবে।'
বিধায়ক আরও বলেন, 'পারিবারিক একটা সমস্যা চলছিল। আজ বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হল। যখন বাড়িতে কোনও সমস্যা হয়, তখন অভিভাবক বা ছেলের বাবা হিসেবে চেষ্টা করা হয় বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার। আমিও তাই করলাম।'
এদিন বিধায়কের পুত্রবধূ পিঙ্কি রায় বলেন, 'আমাদের পারিবারিক বিষয় ছিল আমরা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।'
No comments:
Post a Comment