ঈদের ছুটিতেও মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট খোলে এবং মামলার শুনানি হয়। লস্কর-ই-তৈয়বার সন্ত্রাসী শেখ আব্দুল নাঈম নিজেই মঙ্গলবার হাইকোর্টে নদিয়া জেলার বনগাঁ আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করার জন্য তার পক্ষ উপস্থাপন করেছেন। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাকে দিল্লীর তিহার জেল থেকে কলকাতায় আনা হয়েছে। তিনি নিজেই হাইকোর্টে বিচারপতির সামনে তার পক্ষ পেশ করে বলেন, তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ সব মিথ্যা এবং সময়ের সাথে সাথে সে ভুল প্রমাণ করতে পারবে। তিনি বলেন, নিম্ন আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে যা ঠিক নয়। সে বেঁচে থাকতে চায়।
আদালতে তার পক্ষে শুনানি শেষে তাকে ১৭ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। একই দিনে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। পাশাপাশি তার পক্ষে একজন আইনজীবী নিয়োগেরও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
আদালত আরও বলেছে, ১৭ মে নাঈমকে প্রমাণ করতে হবে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ মিথ্যা। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে বাংলাদেশের বেনাপোল সীমান্তের কাছে থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় শেখ আবদুল নাঈমসহ চার সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। জানা গেছে যে তিনি পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং লস্কর-ই-তৈয়বার সাথে যুক্ত একজন সক্রিয় সন্ত্রাসী। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা সংক্রান্ত নথিসহ বিস্ফোরকও উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও পরে তিনি পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে যান, কিন্তু তারপর তাকে দিল্লীতে গ্রেফতার করে তিহার জেলে রাখা হয়।
এদিকে নদীয়া জেলার ভানগাঁও আদালতে তার বিরুদ্ধে লাগাতার শুনানি চলছিল। এর মধ্যে, মুম্বাই হামলায় তার নামও অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার কারণে আদালত দীর্ঘ শুনানির পরে ২০১৮ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য উচ্চ আদালতের অনুমতি লাগে। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার আদালতে শুনানি হয়, এ সময় তিনি নিজেই তার পক্ষে বক্তব্য রাখেন। এখন এই মামলার শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি কলকাতাতেই থাকবেন। তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে কড়া নিরাপত্তায় রাখা হবে।
No comments:
Post a Comment