নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রোগী দেখা, সেইসঙ্গে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ রোগী ও তার আত্মীয়দের। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়াল। এরপরেই এলাকাবাসীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ আসতেই প্রকাশ্যে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, আসল উনি একজন ভুয়ো ডাক্তার। অন্য চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে চিকিৎসার অভিযোগে ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার লস্করপুরের।
স্হানীয় সূত্রে খবর, ভুয়ো চিকিৎসকের নাম অশোক মণ্ডল। তিনি সোনারপুর পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে লস্করপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন প্রায় আড়াই বছর ধরে। সেখানেই ছিল চেম্বার। অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিনই মদ্যপ অবস্থায় চেম্বারে এসে রোগীদের গালিগালাজ করতেন। মঙ্গলবারও একই কাজ করায় স্থানীয়রা তাঁর চেম্বার ঘেরাও করে, এরপর পুলিশে খবর দিলে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কথায় অসঙ্গতি মেলায় গ্ৰেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আলিপুরদুয়ারের এক চিকিৎসক মোহিত কুমার সাঁতরার রেজিস্ট্রেশন জাল করে চিকিৎসা করছিলেন তিনি। প্রায় আড়াই বছর ধরে এখানে বসবাস। কোভিডের সময় এলাকার বাসিন্দাদেরও চিকিৎসা করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান। এলাকাতেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে লাইভ ক্লিনিক নামে একটি সেন্টার খুলেছিলেন। সেখানেই এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। জানা যায়, চিকিৎসা করার পাশাপাশি ডেট সার্টিফিকেটও দিতেন অভিযুক্ত।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মদ্যপান করে ক্লিনিকে এসে গালাগালির পাশাপাশি মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণও করেন। এমনকি ফোন করেও একাধিক মানুষকে বিরক্ত করতেন বলে অভিযোগ।
তার এই আচরণই যে এতবড় বিপদ ডেকে আনবে, তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি ওই ভুয়ো চিকিৎসক। অভিযুক্তকে এদিনই বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
No comments:
Post a Comment