সন্ধ্যে নামতেই স্বামী হয়ে যায় নারী, আদালতের দ্বারস্থ মহিলা

সন্ধ্যে নামতেই নারী হয়ে যায় স্বামী, এমনই এক অদ্ভুত অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন এক মহিলা। ঘটনা মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের। দিলেশ্বর (নাম পরিবর্তিত) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। 

স্ত্রীর গুরুতর অভিযোগ, সন্ধ্যায় স্বামী নারীর মতো পোশাক পরে এবং তার সঙ্গে কোনও সম্পর্কও রাখেন না। অন্য ঘরে ঘুমাতে চলে যান। স্বামী পেশায় ইঞ্জিনিয়ার বলে জানা গেছে।  ভুক্তভোগী নারীর ভাষ্যমতে, তার স্বামী রাতে ঘুমানোর আগে নারীদের মত মেকআপ করেন এবং তার সঙ্গে প্রেম-ভালোবাসাও করেন না। এরপর ওই নারী ন্যায়বিচারের জন্য জেলা আদালতে আবেদন করলে আদালত শুনানি করে অভিযুক্ত স্বামীকে নির্দেশ দেন স্ত্রীকে ভাতা দেওয়ার। 

উল্লেখ্য, ইন্দোরের বাসিন্দা, অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার দিলেশ্বরের সাথে 29 এপ্রিল, 2018-এ বিয়ে হয়েছিল ওই মহিলার। মহিলার ভাষ্যমতে, তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে কয়েকদিন ভালো রাখে, এরপর তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে ছোটখাটো বিষয়েও কটূক্তি করতে থাকে।

ভিকটিম জানায়, অভিযুক্ত ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রতিদিনের খরচের জন্য তার কাছে টাকা দাবী করত এবং না দিলে তাকে আলাদা ঘরে আটকে রাখত। নির্যাতিতার আইনজীবী জানান, স্বামী পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হওয়ায় স্ত্রীকে ইন্দোর থেকে পুনে নিয়ে গিয়ে সেখানে অত্যাচার করতেন। আইনজীবী এও জানান, অভিযুক্ত স্বামীর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না এবং সব খরচ স্ত্রীর কাছ থেকে নিতেন।  

ভিকটিমের আইনজীবী জানান, অভিযুক্ত সন্ধ্যায় কপালে টিপ, ঠোঁটে লিপস্টিক,  কানের দুল পরে, নারীর মতো মেকআপ করত এবং ভিকটিমকে মানসিক নির্যাতন করত।  

ভুক্তভোগীর দাবী, তিনি তার স্বামীর নারীর সাজে একটি ছবি তুলেছিলেন এবং একটি ভিডিওও করেছিলেন। নির্যাতিতা জানান যে 12 জুন, 2020 তারিখে, দিলেশ্বর (অভিযুক্ত স্বামী) তার স্ত্রীকে ইন্দোরে নিয়ে এসে মায়ের ঘরে ছেড়ে চলে যায়। এর পরে, নির্যাতিতা মহিলা থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন, যাতে তিনি অভিযোগ করেন যে, স্বামী তার সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক করত না এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রতারণা করত।