কলকাতার ভবানীপুর এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনের কাছে গুজরাটি দম্পতি খুনের ঘটনায় একটি বড় ঘটনা সামনে এসেছে। সোমবার হরিশ মুখার্জি রোডের ফ্ল্যাট থেকে অশোক শাহ ও তাঁর স্ত্রী রেশমির দেহ উদ্ধার করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। প্রাথমিক পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃত অশোক শাহকে ফাঁকা রেঞ্জের গুলি থেকে মাথার পেছন থেকে গুলি করা হয়েছে। গুলি মাথায় ঢুকে যায়। পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে পেটে অনেক আঘাত করা হয়।
লিস জানিয়েছেন যে এই দম্পতির তিনটি কন্যা রয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন বিবাহিত এবং তৃতীয়জন তাদের পিতামাতার সাথে থাকত। সোমবার সে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল এবং সন্ধ্যায় ফিরে এসে তার বাবা-মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের জড়ো করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
দম্পতি খুনের রহস্য উদঘাটনে ভবানীপুরে জড়ো হয়েছে পুলিশের দল। তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই ব্যবসায়ীর গৃহকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ফ্ল্যাটের সামনে একটি নির্মাণাধীন ভবনের ঠিকাদারি কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জানা গেছে, নিহত দম্পতির বাড়ির সামনে লাগানো তিনটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে। সড়কে বসানো পুলিশের ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে তদন্ত দল। ওই ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোনের কল লিস্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ওই ব্যবসায়ীর দুটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে পুলিশও ক্লু খুঁজতে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলছে। বাড়ির টেবিলে খাবারের জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পাওয়া গেছে বলে পুলিশ বলছে, খুনের সঙ্গে পরিচিতরা জড়িত। অর্থাৎ খুনের আগে খুনিরা দম্পতির সঙ্গে একসঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া করেছে।
এখানে গভীর রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ফোন করে ঘটনার সম্পূর্ণ তথ্য পান। তিনি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং দ্রুততম সময়ে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনার পর গভীর রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন ওই এলাকার কাউন্সিলর ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৌদি কাজরি ব্যানার্জি। তিনি বলেন, "আমাদের এলাকা খুবই শান্তিপূর্ণ, যে দম্পতিকে খুন করা হয়েছে তারাও কখনও কারও সাথে ঝগড়া করতেন না এমনকি আপনিও কারও সাথে জড়িত ছিলেন না। মুখ্যমন্ত্রী আমার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাঁর নির্দেশে আমিও ঘটনাস্থলে এসেছি।"
No comments:
Post a Comment