২১শে জুলাই তৃণমূলের শহীদ দিবসের প্রস্তুতি সভায় তৃণমূল কংগ্রেস আসানসোলের কুলটি ব্লক সভাপতি বিমান আচার্যের দলীয় কাউন্সিলরদের হুমকি দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে বিমান আচার্যকে বলতে দেখা যায় যে আমি বা উজ্জ্বল চ্যাটার্জি কেউই আসানসোলের নেতাদের কথা চিন্তা করি না। ২১ জুলাই কুলটির প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে দুটি করে বাস ভর্তি করে লোকেদের নিয়ে যেতে হবে। যে কাউন্সিলর এটা করবেন না, তার ওয়ার্ডে কাজ না করার ব্যবস্থা করা হবে। এই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গ শাখার প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই নিয়ে আবারও ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, তৃণমূল লোকদের ভয় দেখিয়ে দলীয় সভায় নিয়ে আসে।
শনিবার নিউ টাউন ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসের প্রোগ্রামে উপস্থিত হওয়ার জন্য নিজস্ব কর্মী নেই, তাই লোকদের ভয় দেখিয়ে আনা হচ্ছে।'
দিলীপ ঘোষ বলেন, যারা ১০০ দিনের কর্মসংস্থান প্রকল্পের আওতায় কাজ করেন, তাদের গাড়িতে ভরে দলের নেতারা কর্মসূচিতে এনে লোক দেখানোর চেষ্টা করেন। বাস্তবতা হল তৃণমূলের এমন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী নেই। যারা তৃণমূলের কাছ থেকে বাণিজ্যিক সুবিধা পেয়েছেন তারাও এই কর্মসূচিতে আসেন। আসলে, একদিন আগে, আসানসোলের তৃণমূল ব্লক সভাপতির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যাতে তিনি সাধারণ মানুষকে হুমকি দিয়েছিলেন যে তারা ২১ শে জুলাই কর্মসূচিতে উপস্থিত না হলে তাদের পরিণতি ভোগ করতে হবে। ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি প্রেসকার্ড নিউজ।
এছাড়াও এদিন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সোনিয়া গান্ধীর কাছে সমর্থন চেয়ে ফোন করা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি যদি সমস্ত দলের সম্মতিতে নির্বাচিত হন, তাহলে একটি ভাল বার্তা যাবে, তাই মুর্মুর প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়।'
তিনি এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বলেন যে, 'মন্ত্রীর মেয়ে, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে। মমতার শাসনামলে প্রতিটি বিভাগই দুর্নীতিতে নিমগ্ন।' তিনি বলেন, 'মহানগর কলকাতা থেকে রাজ্যের প্রতিটি বড় শহরে তৃণমূলের লোকেরা জলাশয়ের জমি ভরাট করে বাড়ি তৈরি করছে। প্রশাসন ও পৌর কর্পোরেশন সহায়তায়', বলেও তোপ দাগেন তিনি।
No comments:
Post a Comment