নূপুর শর্মার সমর্থনে পোস্ট করায় রাজস্থানের উদয়পুরে দর্জি কানহাইয়ালালকে তাঁর দোকানে ঢুকে নির্মম ভাবে গলা কেটে খুন করে দুই যুবক। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই NIA তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বৃহস্পতিবার মৃতর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তাঁর সঙ্গে থাকবেন রাজ্যের ডিজিপি এমএল লাথারও। তাঁর আগে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কিছু তথ্য জানান ডিজিপি।
ডিজিপি বলেন, এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, এই ব্যক্তিরা (মামলার প্রধান আসামি) দাওয়াত-ই-ইসলামি নামের একটি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করছিল। এই মামলাটিকে প্রথম থেকেই সন্ত্রাসের আইন হিসাবে বিবেচনা করে, UAPA-এর অধীনে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। বুধবার রাতেই এনআইএ আমাদের অনুসন্ধানে যোগ দেয়। যতদূর তাদের (প্রধান অভিযুক্ত) আন্তঃসীমান্ত সংযোগ সম্পর্কিত, ডিজিটাল প্রমাণ যাই হোক না কেন, রাজস্থান পুলিশ তার স্তরে তা তদন্ত করছে। NIA-এর সহযোগিতাও নেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, অভিযুক্ত গাউস মোহাম্মদের মোবাইলে পাকিস্তানের ১০টি নম্বর পাওয়া গেছে। দুজনেরই যোগাযোগ ছিল পাকিস্তান ও আরব দেশের জনগণের সঙ্গে। অভিযুক্ত দুজনই ২০১৪ সালে ৪৫ দিনের জন্য পাকিস্তানের করাচিতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে তাদের মাস্টারদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।
সূত্রের বিশ্বাস, গোস মোহাম্মদ নেপাল হয়ে করাচি গিয়েছিল। কানহাইয়ালালকে যে পদ্ধতিতে হত্যা করা হয়েছিল তা তালেবানী পদ্ধতি ছিল। অভিযুক্ত উভয়ই উদয়পুরে হোয়াটসঅ্যাপের একটি সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ বজায় রেখেছে এবং এই গ্রুপে ক্রমাগত ভিডিও পোস্ট করত। এখন ওই গ্রুপের অ্যাডমিন ও মেম্বারের তদন্ত করছে পুলিশ।
বলা হচ্ছে, অভিযুক্ত দুজনই উদয়পুরে যুবকদের উসকানি দিত। এটাও সামনে এসেছে যে দুজনেই দাওয়াত-ই-ইসলামি নামে একটি পাকিস্তানি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। দাওয়াত-ই-ইসলামি সংগঠনের তার দিল্লী, উদয়পুর সহ দেশের অনেক শহরে সংযুক্ত থাকতে পারে। গোস মোহাম্মদ পাকিস্তানের করাচি থেকে একজন মৌলানার সাথে যোগাযোগ করছিল।
কানহাইয়ালাল হত্যাকাণ্ড সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্র মতে, দুই অপরাধীর সঙ্গে অনেক যুবক জড়িত, এখন তাদেরও খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা।
No comments:
Post a Comment