সোমবার জ্ঞানভাপি চত্বরের বাইরে হনুমান চালিসা পাঠ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জলাভিষেকের পীড়াপীড়িতে এখনও অনড় অবমুক্তেশ্বরানন্দ। এই সংস্থার দায়ের করা একটি পিটিশনেরও আজ,সোমবার বারাণসী আদালতে শুনানি হবে। জ্ঞানভাপি মসজিদের ভুখানায় শিবলিঙ্গ পাওয়ার দাবীতে রাস্তায় নেমেছে সন্তসমাজ। বিষয়টি আদালতে থাকলেও বারাণসীতে প্রতিদিনই কোনও না কোনও সংগঠনের মাধ্যমে পূজার দাবী তোলা হচ্ছে।
সর্বভারতীয় জ্ঞানভাপি মুক্তি মহাপরিষদ আবারও জ্ঞানভাপি ক্যাম্পাসের বাইরে হনুমান চালিসা পাঠ করার ঘোষণা দিয়েছে। কর্মসূচি অনুযায়ী, সকালে কাশী বিশ্বনাথ কমপ্লেক্সে উপস্থিত হনুমানজির মূর্তি পুজো করা হবে। এরপর হনুমান চালিসা পাঠ ও জ্ঞানভাপির মুক্তির জন্য প্রার্থনা করা হবে।
এর আগেও এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এখানে পুজো করেছেন। একই সময়ে, সর্বভারতীয় জ্ঞানভাপি মুক্তি মহাপরিষদ পূজার দাবীর বিষয়ে একটি পিটিশন দাখিল করেছে, যেখানে আদালতের কাছে দাবী করা হয়েছে যে তাদের দিনে একবার পূজা করার অনুমতি দেওয়া হোক। আজ বারাণসীর জেলা আদালতেও এই আবেদনের শুনানি হবে। সংগঠনটি দরখাস্তে বলেছে, আমাদের একটি ছোট দাবী আমাদের প্রতিমাকে দিনে একবার পুজো করা উচিৎ। উপাসনার অধিকার প্রত্যেক সনাতন ধর্মের মৌলিক অধিকার, তাই তিনি তাঁর আইনজীবী রমেশ উপাধ্যায়ের মাধ্যমে জেলা জজ আদালতে জ্ঞানভাপিতে পূজা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন।
পুলিশ স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দকে বাধা দেয়, যিনি বারাণসীতে অবস্থিত জ্ঞানভাপি মসজিদের ভাজুখানায় শিবলিঙ্গে জল দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। এ নিয়ে শুক্রবার তিনি জ্ঞানভাপি মসজিদে শিবলিঙ্গ পুজোর ঘোষণা দিয়ে প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসন অনুমতি না দেওয়ায় শনিবার তার মঠের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এরপরই ক্ষিপ্ত হন স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। তিনি বলেন, "আমি আমার নিজের মোবাইল থেকে কমিশনারের কাছে আবেদনটি পাঠিয়েছি এবং চিঠিসহ আমার লোককে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়েছি। আমার কাছে প্রমান আছে। পূজার পরই এখানে বসে খাবার খাব। আদালতের রায় আমরা মেনে নেব। কিন্তু আদালতের রায় না আসা পর্যন্ত ঈশ্বর কি ক্ষুধার্ত-তৃষ্ণার্ত থাকবেন? আমরা একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছি (প্রার্থনা করার অনুমতির জন্য) কিন্তু পুলিশের কাছ থেকে কোনও সাড়া পাইনি।"
No comments:
Post a Comment