পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে ফের সংঘর্ষের ঘটনা। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ১০ জনের বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ৮ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার রাত থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবার বিকেলে দলের সমাবেশের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে এবং সন্দেহভাজনদের শনাক্তকরণ শুরু করেছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের বাংলাকে অবহেলার প্রতিবাদে এবং মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে কেশপুর বাজার এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সভা শেষে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা বাড়ি ফিরলে গড়গজপাতা এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। রাতেই দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়।
সোমবার রাতে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও মঙ্গলবার সকালে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কেশপুর থানার পুলিশ। মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলাদলির ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল খুবই ক্ষুব্ধ। কেশপুর ব্লক সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠীর সঙ্গে বহুদিন ধরেই বিরোধ চলছে। এলাকা দখল নিয়ে মূলত দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ। স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, অনেক সময় উভয় পক্ষের অনুগামীরা পরস্পরের সাথে জড়িয়ে পড়েন। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব 100 দিনের কাজের জন্য টাকা না পেয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করে।
উভয় পক্ষ লাঠিসোঁটা ও লোহার রড নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তারা চিকিৎসাধীন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এলাকায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি উত্তেজনা থাকলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব মুখ খুলতে প্রস্তুত নয় বা এই সংঘর্ষের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করছে না।
No comments:
Post a Comment