প্রতি বছর আলুর মৌসুম শুরুর আগে শুধু কৃষকই নয়, অনেক অকৃষকও আলু চাষে ঝুঁকে পড়েন। কারণ আলু চাষে কম সময়ে লাভ বেশি হয়। অনেক সময় কৃষকরা আলু চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাই আলু চাষ সম্পর্কে কিছু নির্দিষ্ট তথ্য জানা প্রয়োজন।
মাটি:
বেলে বা দোআঁশ মাটিতে আলু সবচেয়ে ভালো জন্মে। আলু চাষের জন্য উচ্চ বা মাঝারি উচ্চতার জমি নির্বাচন করতে হবে যেখানে প্রচুর সূর্যালোক থাকে।
জমি প্রস্তুতি:
আলু একটি ভূগর্ভস্থ ফসল, তাই জমিতে গভীর চাষ করতে হয়। জমিতে লাঙল চাষের পর ৭ থেকে ১৫ দিন রোদে শুকাতে হবে। এটি সূর্যালোক এবং তাপের সংস্পর্শে এসে মাটির নীচে বিভিন্ন কীটপতঙ্গ, পোকামাকড় এবং পিউপা এবং প্যাথোজেন ধ্বংস করে।
চাষের সময়:
আলু রোপণের উপযুক্ত সময় নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শেষ পর্যন্ত। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত আলু বপন করা গেলেও ফলনও একই অনুপাতে কমে যায়।
সার:
জিপসাম, জিঙ্ক সালফেট ও বোরন সার স্প্রে করে মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে। যেসব জমিতে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে সেসব জমিতে শেষ চাষের সময় ম্যাগনেসিয়াম সার প্রয়োগ করতে হবে।
সেচ:
আলু চাষে সেচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত রোপণের ৭ দিনের মধ্যে দেওয়া হয়। তারপর মাটির ধরন ও প্রয়োজন অনুযায়ী ৩ থেকে ৫ বার সেচ দিতে হবে। তবে কন্দ গঠনের শুরুতে অর্থাৎ ৪০ থেকে ৪৫ দিন মাটিতে রস না থাকলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে বা ফলন কমে যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment