পরিবর্তিত সময় ও জীবনযাপনের পদ্ধতি আমাদের জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। অবনতিশীল জীবনযাত্রার কারণে মানুষ ক্রমশ রোগের শিকার হচ্ছে। অনেক নতুন রোগ আমাদের চারপাশে ওত পেতে বসে রয়েছে। কিন্তু এমন অনেক রোগ আছে যেগুলো বহু বছর ধরে আমাদের ভোগাচ্ছে এবং এর চিকিৎসার জন্য আজ আমরা বাজারে পাওয়া যায় এমন অনেক ওষুধের আশ্রয় নিচ্ছি, যা কখনও কখনও উপকারের পরিবর্তে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু আমরা অনেকেই ভুলে গিয়েছি এইসব রোগের প্রতিকার আমাদের দিদা-ঠাকুরমা-রা অনেক আগ থেকেই ঘরোয়া উপায়ে করতেন। আসুন এই প্রতিবেদনে সেই পুরনো অথচ কার্যকরী ঘরোয়া টোটকা গুলো একবার মনে করে নেওয়া যাক-
ইনস্ট্যান্ট কাশি সিরাপ
পরিবর্তনশীল ঋতুতে শিশুরা সর্দি-কাশিতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। এটি দূর করতে এক গ্লাস উষ্ণ জল, কয়েক ফোঁটা লেবু, এক চামচ মধু এবং এক চিমটি দারুচিনি মিলিয়ে শিশুদের দিতে পারেন। আগেকার দিনে এই ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতেন দিদা-ঠাকুরমা-রা। শিশুদের পাশাপাশি এটি বড়দের জন্যও উপকারী।
সিল্কি নরম চুলের দেশি টোটকা
আগেকার দিনে কিন্তু রাসায়নিক সমৃদ্ধ শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ছিল না। সেইসময় চকচকে চুলের জন্য দিদা-ঠাকুরমা ব্যবহার করতেন নিজেদের মতো করে ঘরে তৈরি টোটকা। যা আপনিও সহজেই এখন করতে পারেন। এর জন্য চুলের তেলে কয়েক ফোঁটা লেবু মিশিয়ে আপনার মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ২-৩ ঘণ্টা রেখে কুসুম গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আশ্চর্যজনক ফলাফল পেতে সপ্তাহে ১-২ বার এটি পুনরাবৃত্তি করুন।
ব্রণ ফুসকুড়ি থেকে মুক্তি
বাজারে আজ অনেক অ্যান্টি অ্যাকনে প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। কয়েক বছর রিওয়াইন্ড করুন এবং আপনার শৈশবে ফিরে যান। ব্রণ চিকিত্সার জন্য প্রায় কোনও মলম, ক্রিম বা সিরাম পাওয়া যেত না, কিন্তু আমাদের দিদা বা ঠাকুরমার কাছে এটির চিকিত্সার জন্য ছিল তাদের নিজস্ব ঘরোয়া প্রতিকার। সেটি হল- ২ চামচ দই নিন, এতে আধা চামচ মধু যোগ করুন এবং এটি একটি মাস্ক হিসাবে প্রয়োগ করুন। কিছুক্ষণ পর এটি ধুয়ে ফেলুন। এভাবে দু'বার পুনরাবৃত্তি করুন।
No comments:
Post a Comment