শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর একের পর এক নামী-দামী ও বেনামি সম্পদের খোলসা হচ্ছে। তার ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে নোটের পাহাড় উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, পার্লার, বাগানের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এখন ইডি আধিকারিকরা অন্তত 100টি ডাম্পার খুঁজে পেয়েছেন। ইডি সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের টাকায় এগুলো কেনা হয়েছে। এসব ডাম্পারে ইংরেজিতে 'পি' লেখা। 'পি' এর অর্থ পার্থ চ্যাটার্জি থেকে নেওয়া হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমানের পালসিটে গেলে দেখা যাবে রাস্তায় ডাম্পারের সারি।
ইডি আধিকারিক জানিয়েছেন, " আমরা যখন দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের কাছে পালসিট টোল প্লাজার আগে অজাপুর গ্রামে যাই, সেখানে ডাম্পারের দীর্ঘ সারি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারের পর এসব ডাম্পার চলছে না। গ্রামের পাশে মাঠের রাস্তায় তাদের রাখা হয়।"
ওই ডাম্পারে 'পি' লোগো ছিল বলে জানা গেছে। মন্ত্রী পার্থকে গ্রেপ্তারের পর তা সরিয়ে দেওয়া হয়। ডাম্পারে লেখা আছে রাহুল-রাজ। কে এই রাহুল-রাজ? গ্রামের বাসিন্দারা জানান, এলাকার দুই বাসিন্দা বাবলু ও ডাবুই মূলত এসব ডাম্পার দেখাশোনা করেন। আর তার ছেলের নাম রাহুল ও রাজ। বর্তমানে বাবলু ও ডাবুইকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। জানা যায়, জামালপুর ও বর্ধমান নদী থেকে বালু তোলা হয়। আগে রাজারহাটে বালি পাঠানো হত। গত কয়েকদিন ধরে সিঙ্গুর পাঠানো হচ্ছিল। গত কয়েকদিন ধরে বালু উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। একটি অফিস আছে যেখানে ডাম্পার পার্ক করা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মিডিয়া আসার আগেই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখানে তৃণমূলের পতাকা লাগানো হয়েছে। তার সামনে দুটি চার চাকার গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে বাবলু ও ডাব্বু এই ব্যবসা শুরু করলেও পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখানে প্রচুর টাকা লাগায়। পার্থ চ্যাটার্জির টাকায় ডাম্পার কেনা হয়েছিল। গ্রামে বাবলু ও ডাবুর বাড়িও তৈরি হচ্ছে। ফ্ল্যাট ও পার্লারের পর এবার পাওয়া গেছে ডাম্পার। ইডি আধিকারিকরা ক্রমাগত সম্পত্তির হিসাব খোঁজার চেষ্টা করছেন। এ প্রসঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "কোথায় কত সম্পদ ছিল তা অনেকেই জানেন। সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞেস করলেই জানা যাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তি কোথায়।"
No comments:
Post a Comment