ইডির অভিযানে রাজ্যে টাকার পাহাড় উদ্ধারের ঘটনার মাঝেই কনডম নিয়ে এক অদ্ভুত তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, গত কয়েকদিন থেকে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের বিভিন্ন জায়গায় যেমন সিটি সেন্টার, বিধাননগর, বেনাচিতি এবং মুচিপাড়া, সি জোন, এ জোনে ফ্লেভারড কনডমের বিক্রি আকাশচুম্বী হয়েছে। বলা হচ্ছে যে, এখানকার যুবকরা অদ্ভুতভাবে কনডম পছন্দ করছে তাদের নেশার মাধ্যম হিসেবে। টুথপেস্ট থেকে জুতার কালি, পেট্রোল থেকে ওভার-দ্য-কাউন্টার কাশির ওষুধ বা অ্যারোসল স্প্রে বা এমনকি হ্যান্ড স্যানিটাইজার পর্যন্ত সব দিয়েই নেশা করার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এই তালিকায় এখন কনডমও যুক্ত হয়েছে।
কনডমের বিক্রির ব্যাপক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে নেশার এই অদ্ভুত পদ্ধতি নিয়ে। পুরো বিষয়টি নিয়ে রীতিমত আতঙ্কিত দুর্গাপুরের মানুষ। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের ডাঃ ধীমান মণ্ডল ঘটনার তদন্ত দাবী করেছেন।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের ডাঃ ধীমান মণ্ডল তদন্তের দাবী জানিয়েছেন। কন্ডোম জলে ভিজিয়ে রাখলে মাদকদ্রব্য হতে পারে বলে দাবী করা হয়। এটা সত্যি হলে দুর্গাপুরের যুবকরা এর খোঁজ পেয়ে পেয়ে গিয়েছেন। এখন তারা এই তথ্যের পুরো সুবিধা নিচ্ছেন। তিনি বলেন যে, কনডমের ল্যাটেক্স যৌগ কীভাবে জলের সাথে প্রতিক্রিয়াশীল হতে পারে, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তবে, তিনি যোগ করেছেন যে, কনডমে সুগন্ধযুক্ত যৌগ রয়েছে, যা যুবকদের মধ্যে আসক্তির কারণ হতে পারে।
ডঃ ধীমান মন্ডল দুর্গাপুরে কন্ডোমের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বলেন যে, এটি যুবকদের মধ্যে কিছু সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। একই সময়ে, একজন ক্রেতার বরাত দিয়ে সুজয় চক্রবর্তী নামে এক দোকানদার বলেন, গরম জলে কনডম রাতারাতি ভিজিয়ে রাখলে অ্যালকোহল কম্পাউন্ডে জৈব অণুগুলি ভেঙে বড় জৈব অণুতে পরিণত হওয়ার কারণে নেশার সৃষ্টি হয়। তিনি আরও প্রকাশ করেছেন যে, এর বেশিরভাগ ক্রেতাই পুরুষ, যদিও মহিলারাও নেশা করার জন্য কনডম নিতে আসে।
মলয় ঘোষ নামে আরেক দোকানদার বলেন, 'কন্ডোমের বিক্রি বেড়েছে, এর অনেক কারণ থাকতে পারে। তিনি বলেন, তরুণরা নেশার জন্য এ ধরনের পন্থা অবলম্বন করছে। এগুলোর বেশিরভাগই সহজলভ্য। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যুবকরা অদ্ভুত জিনিস নিয়ে নেশা করার চেষ্টা করে, কারণ তাদের কাছে টাকা নেই।'
No comments:
Post a Comment