খাবারে গোলযোগের কারণে পরিপাকতন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়, বিশেষ করে এই বর্ষায়, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে একটু অসাবধানতাও আপনার জন্য সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। এই মৌসুমে অনেক ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এই জীবাণুগুলি ফল এবং শাকসবজি সহ অন্যান্য খাবারকে দূষিত করতে পারে, যার কারণে অনেক ধরণের হজমের সমস্যা দেখা যায়।
এই ধরনের সমস্যায় কিছু ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করে উপশম পাওয়া যায়।
আদা
আমাদের সব বাড়িতেই সহজলভ্য একটি ওষুধ, এটি শুধু খাবার ও চায়ের স্বাদই বাড়ায় না, এটি বমি ও বমি বমি ভাবের সমস্যায়ও উপকারী হতে পারে। আদা কাফা ভারসাম্য, কারমিনেটিভ এবং অ্যান্টি-এমেটিক বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ, যা এই জাতীয় হজম সমস্যা কমাতে সহায়ক হতে পারে। বমি হলে এক টুকরো আদা নিয়ে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান, উপকার পাওয়া যাবে।
লেবু উপকারী
আপনি যদি বারবার বমি বমি ভাব এবং বমি বমি ভাবের সমস্যা অনুভব করেন তবে তা থেকে মুক্তি পেতে লেবু খাওয়া যেতে পারে। লেবুর একটি স্বতন্ত্র সুগন্ধ এবং স্বাদ রয়েছে যা বমি বমি ভাবের প্রভাব কমাতে পারে। এছাড়াও লেবু জাতীয় ফল খেলেও বমি প্রতিরোধ করা যায়, এমন পরিস্থিতিতে বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি পেতে জলে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
এই পানীয় থেকে মুক্তি পেতে পারেন
, বমি বমি ভাবের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে জিরা-জায়ফল কেও উপকারী বলা হয়েছে আয়ুর্বেদে। এক কাপ গরম জলে ১ চা চামচ জিরা এবং এক চিমটি জায়ফল মিশিয়ে গরম করে নিন এবং ঠান্ডা হলে খেয়ে নিন। এটি বমি রোধ করে এবং বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি দেয়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ কি?
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেটে পিঠার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় প্রায়ই বমি বমি ভাব-বমি হয়। বর্ধিত অ্যাসিড, বা পিত্ত, গ্যাস্ট্রিক শ্লেষ্মা ঝিল্লিকে প্রভাবিত করে, যার ফলে হজম এবং বমিতে সমস্যা হয়। তাই বমি হলে অতিরিক্ত গরম বা মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। পরিপাক স্বাস্থ্য সব মানুষের বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন.
No comments:
Post a Comment