বাংলাদেশে আবারও হিন্দুদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল। তথ্য অনুযায়ী, ফেসবুক পোস্টে ক্ষুব্ধ চরমপন্থীরা শুক্রবার সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, এ সময় জনতা এক হিন্দুর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা এতটাই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে যে তারা বিক্ষোভ সৃষ্টি করে এবং মন্দিরেও পাথর ছুঁড়ে মারে। ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইলের লোহাগড়া এলাকায়। এদিকে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে সতর্কতা হিসেবে পুলিশও হাওয়ায় গুলি চালায়।
তথ্য অনুযায়ী, ফেসবুকে কিছু পোস্ট করা হয়। এর পর মৌলবাদীরা ক্ষুব্ধ হয়। স্থানীয় পুলিশ জানায়, জনতা ওই এলাকায় পৌঁছে হিন্দুদের বাড়িতে হামলা চালায়। তাঁদের মারধর করা হয়। এ সময় দিঘলিয়া গ্রামে একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হামলার সময় জনতা গ্রামের একটি মন্দিরেও আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশ বলছে, আকাশ সাহা ও তার বাবা অশোক সাহার বিরুদ্ধে নবী মোহাম্মদকে নিয়ে পোস্ট করার অভিযোগ রয়েছে। তাদের মতে, এই মানুষদের বাড়িও পোড়ানো হয়েছে। ঘটনার পর আকাশ ও তার বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফেসবুক পোস্টের অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। তার সাথে স্থানীয় নেতারাও এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এই পুরো ঘটনার একটি ভিডিওও ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেখা যায়, জনতা বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে এবং হিন্দুরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। এই ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৮ জুন বাংলাদেশের নড়াইল কলেজের এক হিন্দু অধ্যক্ষের ওপর হামলা হয়। এসময় তাকে জুতার মালা পরাতে বাধ্য করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে নূপুর শর্মার সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট করা এক ছাত্রকে সমর্থন করার অভিযোগ তুলেছিলেন ছাত্ররা।
No comments:
Post a Comment