'ক্যাশ' কাণ্ডে জড়িত দলের ৩ বিধায়ককে বহিষ্কার করেছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনজন বিধায়ক দলের ঝাড়খণ্ড ইউনিটের এবং শনিবার সন্ধ্যায় তাদের কাছ থেকে বিপুল নগদ উদ্ধার করছে হাওড়া পুলিশ। দলের সাধারণ সম্পাদক এবং ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের ইনচার্জ অবিনাশ পান্ডে বলেছেন যে, তিনজন বিধায়ককে তাৎক্ষণিকভাবে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িতদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে অবিনাশ পান্ডে বলেন, "ঝাড়খণ্ডের কয়েকজন বিধায়ক কলকাতায় প্রচুর নগদ টাকাসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। বিধায়কদের ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং প্রলুব্ধ করে সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। বিজেপির এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে অতীতেও এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল। একজন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিধায়কদের কাছে যাচ্ছেন, একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিধায়কদের হুমকি দিচ্ছেন।"
অবিনাশ বলেন, 'মহারাষ্ট্রে সরকার বদল হলেও এক মাস পেরিয়ে গেলেও মন্ত্রিসভা গঠিত হয়নি। ছত্তিশগড়েও এজেন্সির মাধ্যমে সরকারকে হয়রানি করার চেষ্টা চলছে। রাজস্থানে চেষ্টা করা হয়েছে।' দিল্লীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কংগ্রেসের মিডিয়া প্রধান পবন খেরাও উপস্থিত ছিলেন। বিজেপির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগও করেছেন তিনি।
ঝাড়খণ্ডের তিনজন বিধায়ক বিপুল নগদ অর্থসহ পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় ধরা পড়ার পরে, কংগ্রেস অভিযোগ করেছে যে, রাজ্যে জোট সরকারগুলিকে পতনের উদ্দেশ্যে 'অপারেশন লোটাস'-এর পর্দা ফাঁস হয়েছে। কংগ্রেস তার রাজ্য ইউনিটের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে। জয়রাম রমেশ ট্যুইট করেছেন, "দিল্লীতে 'হাম দো'-এর গেম প্ল্যান হল- ঝাড়খণ্ডে যা তারা মহারাষ্ট্রে ই ডি জোড় বসিয়ে করেছে।"
শনিবার পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলায় ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ককে আটক করেছে পুলিশ। বলা হচ্ছে যে এই তিন বিধায়ক যে গাড়িতে যাচ্ছিলেন, তা থেকে ৪৮ লক্ষ টাকার বেশি নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment