মঞ্চে নাটক দেখে মন আনন্দে ভরে ওঠে। অভিনেতা-অভিনেত্রী-দের অভিনয় দেখে ধন্য ধন্য করি। অথচ যারা সুসজ্জিত আলোক সজ্জায় তাদের অভিনয়ে চার চাঁদ লাগিয়ে দেন যাঁরা, তাদের কথা মনে রাখি ক'জন? এই আলোর ব্যবহার যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটাই দেখালেন শিল্পীরা ।
এই আলোক শিল্পের প্রয়োগ, ব্যবহার কৌশল ও গুরুত্ব জানাতে তিনি সোমা মাইম থিয়েটার আগরপাড়াতে তাঁর নিজস্ব অন্তরঙ্গ স্পেস এসএমটি এরিনাতে এক কর্মশালার আয়োজন করেন। এই কর্মশালার বিষয়বস্তু ছিল আন্ডারস্ট্যান্ডিং অ্যান্ড এক্সপ্লোরিং অফ লাইট ডিজাইনিং। ২৭ জুন থেকে ৬ জুলাই, বিকেল ৪ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত এই কর্মশালা চলে।
এই শিবিরে অংশ নেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য বিভাগ, নটধা, সবুজ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সহ নানা দল, এমনকি কলকাতার বাইরে থেকেও ২৫ জন শিক্ষার্থী। এই কর্মশালা পরিচালনায় ছিলেন, ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার অন্যতম পরিচালক ও প্রাক্তনী সৌতি চক্রবর্তী। থিওরি ও প্র্যাকটিক্যাল- এই দুই ভাগে কাজ হয় কর্মশালার। হাতে-কলমে কাজের জন্য যাবতীয় মেশিনারির ব্যবস্থা করা হয় প্রতিমা বসু স্মৃতি মঞ্চে, যার তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিশ্বনাথ দাস ও তন্ময় দত্ত।
কর্মশালার উদ্বোধনী ছিলেন সোমা মাইম থিয়েটারের কর্ণধার সোমা দাস, সভাপতি আরতি দাস, সহ-সভাপতি পাপিয়া মজুমদার ও সৌতি চক্রবর্তী। উদ্বোধনী ভাষণে সমা দাশ জানান, তিনি নিজেও এই কর্মশালার একজন ছাত্রী এবং নিজেকে কাজ শেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চান। তিনি বলেন, 'থিয়েটার একটা পুরো আর্ট ফর্ম, মঞ্চে অভিনয়ের আগে মঞ্চে নেপথ্যের ইতিহাস জানা সবার দরকার।
কর্মশালার শেষে সকল শিক্ষার্থীর হাতে শংসাপত্র ও স্মারক তুলে দেন সৌতি চক্রবর্তী ও সোমা দাস। এই স্মারকে ছিল প্রদীপ ও নৌকার চিহ্ন। এটি তৈরি করেন ভুবন ডাঙ্গার প্রবীণ আবাসিক সদস্যরা, যার মূল ভাবনা ও পরিকল্পনায় ছিলেন অমিত ভদ্র ও টিনা ভদ্র।
এই কর্মশালায় বাইরের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও 'গেছো'-রাও অংশ নেন সোমা মাইম থিয়েটারের পক্ষ থেকে। কর্মশালার শেষ মুহূর্তে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সকলে।
No comments:
Post a Comment