প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় ইডি-র হেফাজতে রয়েছেন এবং শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি ও কোটি টাকার নগদ উদ্ধারের পরে ক্রমাগত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের। অর্পিতা এবং পার্থ দুজনেই স্বীকার করতে রাজি নন যে, বাজেয়াপ্ত করা টাকা তাদেরই। কেউই সেগুলো নিজের টাকা বলে মেনে নিতে প্রস্তুত নয়। আর এ নিয়েই এখন তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ শুরু করেছে বিজেপি।
রবিবার এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'অপা (অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়) সিন্ডিকেটের মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' রবিবার ডানকুনিতে বিজেপি কর্মীদের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই একথা বলেন তিনি।
এদিন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিন্ডিকেটের মালিক এবং এর পুরো নির্দেশনা দিয়েছিলেন ভাইপো (অভিষেক ব্যানার্জি)। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনেক সংগ্রাহক ছিলেন, যেমন মানষ মজুমদার, গোঘাট তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক, বলাগড় তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। বিনয় মিশ্রের মাধ্যমে ১২ কোটি টাকা দিয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায়। গোটা রাজ্যে চলছে শুধু পাপের ব্যবসা।
এদিকে গ্ৰেফতারের ছয় দিন পর, তৃণমূল কংগ্রেস প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব ও পরে দল থেকে সরিয়ে দিয়েছে। তবে আজও এ নিয়ে কথা বলা বন্ধ করেননি শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে লাভ নেই, কারণ ওই টাকা ভাইপোর, টাকা রাখতে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর এই মন্তব্যের জেরে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
অন্যদিকে, তাঁর টাকা নয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই টাকা যদি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের না হয়, তাহলে তাঁর উচিত আদালতকে জানানো, যে এই টাকা কার? এই টাকা কী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, নাকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের? তিনি অভিযোগ করেন, শুধুমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস তার দায় এড়াতে পারে না। এর দায় নিতে হবে দলকে।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে, বিজেপি এই ইস্যুতে হাওয়া দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং দুর্নীতির ইস্যুতে আবার তৃণমূল কংগ্রেসকে ঘেরাও করার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছে, বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
No comments:
Post a Comment