হিন্দুধর্মে বাস্তুশাস্ত্রের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এবং বাস্তুশাস্ত্রে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা আমাদের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক শক্তি দেয়। যেমন- পূজা ঘরে প্রদীপের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। প্রদীপকে ইতিবাচকতার প্রতীক মনে করা হয়, প্রদীপ জ্বালালে ঘরের নেতিবাচক শক্তি শেষ হয়। কিন্তু প্রদীপ জ্বালানোর একটা বিশেষ উপায়ও আছে, সেগুলি না মানলে ঝামেলা হতে পারে।
ভগবানের মূর্তি বা তাঁর ছবির সামনে সর্বদা প্রদীপ রাখুন। যেখানে সেখানে কোথাও প্রদীপ রাখবেন না। তেলের বাতি সবসময় ডান দিকে এবং ঘি বাতি সবসময় বাম দিকে রাখতে হবে।
প্রদীপ জ্বালানোর আগে এর বাতি বা সলতের প্রতি যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। সঠিক বাতি ব্যবহার করলে প্রদীপজ্বাললে উপকার হবে, না হলে ক্ষতি হতে পারে। সর্বদা মনে রাখবেন যে, আপনি যদি তেলের বাতি জ্বালান তবে বাতিটি লাল সুতোর তৈরি করা উচিৎ। যদি আপনি একটি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান, তবে তুলোর বাতি ব্যবহার করুন।
এছাড়াও যা খেয়াল রাখা দরকার-
পশ্চিম দিকে প্রদীপ জ্বালানো উচিৎ নয়, এই দিকে প্রদীপ জ্বালালে ঘরে দারিদ্র্য আসে এবং অর্থ দ্রুত ব্যয় হয়। সন্ধ্যায় বাড়ির প্রধান দরজায় প্রদীপ জ্বালালে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ আপনার ওপর থাকে এবং ঘরে অর্থ ও খাবারের অভাব হয় না।
দক্ষিণ দিক হল দেবী লক্ষ্মী এবং যম উভয়েরই বাসস্থান। তাই দক্ষিণ দিকে প্রদীপ জ্বালালে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন এবং ঘরে অর্থের অভাব হয় না, যমরাজও খুশি হন এবং অকাল মৃত্যু হয় না। তবে দক্ষিণ দিকে প্রদীপ শিখা যেন না থাকে।
উত্তর দিকে প্রদীপ জ্বালানো উচিৎ নয়, তা করলে ঘরে দারিদ্র্য আসে। যাইহোক, আপনি এই দিকে প্রদীপের শিখা নির্দেশ করতে পারেন।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, সকালে এবং সন্ধ্যায় ঘরে প্রদীপ জ্বালানো সুখ এবং ইতিবাচক শক্তির পরিবেশ তৈরি করে।
No comments:
Post a Comment