বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বড় জয় পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির বেঙ্গল ইউনিট। শেষ মুহূর্তে ২১শে জুলাই উলুবেড়িয়ায় সভা করার অনুমতি পেয়েছে বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্ট বিজেপি নেতা এবং বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে শর্তসাপেক্ষে বৈঠক করার অনুমতি দিয়েছে, তবে সভার সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। আদালত বলেছেন, রাত ৮টায় বৈঠক শুরু হতে পারে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে লোকজন যোগ দিতে পারবেন। রাত ১০টার পর বৈঠক হতে পারে না। এ ছাড়া কিছু শর্তও আরোপ করেছে আদালত। বৈঠকে ২০টির বেশি লাউডস্পিকার ব্যবহার করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। উলুবেড়িয়ার মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেটকে মাইক কোথায় রাখতে হবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
আদালত বলে, ওই স্থানে গত কয়েক মাসের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় সমাবেশ থেকে কোনো উসকানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না, তবে স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। বিজেপি অফিসের সামনেই হবে বৈঠক। সাসপেন্ড করা বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত বক্তব্যকে কেন্দ্র করে উলুবেড়িয়ায় অনেক তোলপাড় হয়েছিল। হিন্দুদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি।
বিজেপি আদালতে জানিয়েছে যে সভাস্থল উলুবেড়িয়ায় জাতীয় সড়ক থেকে প্রায় 10 কিলোমিটার দূরে। মাসখানেক আগে সেখানে সভা করার সিদ্ধান্ত হয়। বিজেপির একজন আইনজীবী বলেন, “হাওড়ার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট (গ্রামীণ) থেকে সভার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। চার দিন আগে পুলিশ বলেছিল অনুমতি দেওয়া হবে না।” কিন্তু মনে হচ্ছে তার ওপর চাপ দেওয়া হয়েছে। পরে তিনি ২১শে জুলাই ওই জায়গা দিতে রাজি হননি। বিচারক বলেন, 'কোনও ব্যক্তিকে তার জায়গা ব্যবহার করতে দেওয়া হবে কি না, তা আদালত বলতে পারে না। আদালতের সেই এখতিয়ার নেই।" তার পাল্টা প্রশ্ন, "আরেকদিন শিডিউল করতে অসুবিধা কোথায়?" বিজেপির আইনজীবীর দাবী, “সকল লোককে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। দিল্লী থেকে নেতারা আসছেন। কলকাতায় তাদের আরেকটি মিটিং আছে বলে ভুবনেশ্বর থেকে গাড়িতে করে আসবেন তারা। সেই জায়গার অনুমতি না থাকলেও আমাদের কাছে আরও দুটি বিকল্প আছে। সেখানে দুই হাজার মানুষ থাকবে।
রাজ্যের কৌঁসুলি বলেছেন, “পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং কয়েকটি জেলা থেকে পাঁচ থেকে সাত হাজার গাড়ি কলকাতায় বৈঠকে যোগ দিতে হাওড়ায় আসবে। হাওড়া থেকে ছাড়বে শতাধিক ট্রেন। এসব নিয়ন্ত্রণ করতে প্রচুর পুলিশ দরকার। এই পরিস্থিতিতে, কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের একটি বড় সমাবেশ হওয়ায় পুলিশের পক্ষে অন্য সমাবেশে নজরদারি করা সম্ভব হবে না।” কলকাতায় ৩,৭০০ পুলিশ সদস্য রয়েছে। তা ছাড়া মূল সমস্যা হল সভাস্থলে অনুমতি না দেওয়া। তবে, বিজেপির আইনজীবীর দাবি, "রাজ্যের মনোভাব থেকে এটা স্পষ্ট যে তারা কোনোভাবেই সমাবেশের অনুমতি দেবে না।" নানা অজুহাত দেখানো হলেও বিচারক বলেন, আপনি আইনের কথা বলেন। তারা বলছেন, সভা করতে না দিলে পুলিশ কী করবে?তবে বিজেপির এই আইনজীবীর মন্তব্য, “যদি ওই জায়গায় না হয়, তাহলে আমাদের নিজেদের জায়গা আছে। দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় আমাদের সভা করতে পারি। এরপর শর্তসাপেক্ষে বৈঠকের অনুমতি দেয় আদালত।
No comments:
Post a Comment