উত্তর ত্রিপুরার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এনএলএফটি (ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা) জঙ্গিদের সাথে একটি ভয়ঙ্কর সংঘর্ষে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর (বিএসএফ) এক জওয়ান শহীদ হয়েছেন। শুক্রবার আধিকারিকরা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শহিদ জওয়ানকে বিএসএফের 145 তম ব্যাটালিয়নের গিরজেশ কুমার হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এনকাউন্টারে আহত হওয়ার পরে তাকে চিকিৎসার জন্য আগরতলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
বিএসএফ আধিকারিক জানিয়েছেন, 145 বিএন বিএসএফ-এর বিএসএফ টহল দল, সেক্টর পানিসাগর, ত্রিপুরা এনএলএফটি (বিএম) এর সন্দেহভাজন জঙ্গিদের নির্বিচারে গুলির লড়াইয়ের শিকার হয়েছে। বিএসএফ সদস্যরা পাল্টা জবাব দেয় যার পরে জঙ্গিরা ঘন জঙ্গলের আড়ালে পালিয়ে যায়। এই এনকাউন্টারে গুলিবিদ্ধ হন এইচসি গিরজেশ কুমার। আহত জওয়ানকে অবিলম্বে হেলিকপ্টারে করে আগরতলায় নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে গুরুতর আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়।
আইজি বিএসএফ ত্রিপুরা তার দলসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিজিবির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে হামলার জন্য দায়ী জঙ্গিদের ধরতে অভিযানের বিষয়ে খোঁজখবর নেন। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বিএসএফের একটি দল কাঞ্চনপুর মহকুমার সীমা-২ ফাঁড়ি এলাকায় অভিযানে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের দিক থেকে গুলি শুরু হয়। পুলিশ সুপার (এসপি) কিরণ কুমার বলেন, “বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার জুপুই এলাকা থেকে একদল ভারী অস্ত্রধারী জঙ্গি বিএসএফ জওয়ানদের ওপর গুলি চালায়। জওয়ানরা পাল্টা জবাব দেয়, দুই পক্ষের মধ্যে এনকাউন্টার শুরু হয়।"
তিনি বলেন, এই এনকাউন্টারের সময় একজন বিএসএফ জওয়ান চারটি গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে কুমার বলেন, বিএসএফের সমন্বিত প্রতিশোধের কারণে জঙ্গিরা তেমন ক্ষতি করতে পারেনি। তিনি বলেন, “ঘটনার পর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এলাকায় তল্লাশি অভিযানও জোরদার করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
No comments:
Post a Comment