শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবারও প্রায় ৭টি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। এর মধ্যে দুটি দল দক্ষিণ কলকাতা এবং বাকি পাঁচটি দল রাজ্যের অন্যান্য এলাকায় গেছে। অন্যদিকে, গ্রেফতার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের 'এআরপি'- নামের প্রথম তিনটি অক্ষর এখন ইডি-র প্রশ্নের মুখে। আসলে, বীরভূমের বিলাসবহুল ফার্ম হাউসের নামও শুরু হয়েছিল অর্পিতার নামের প্রাথমিক অক্ষর দিয়ে। এখন এই তিনটি অক্ষর দিয়ে তৈরি একটি ই-মেইল আইডি অর্থাৎ 'ARP' ইডি-র লক্ষ্যে রয়েছে। অর্পিতার বিভিন্ন লেনদেনের সূত্রও কি এই ই-মেইল আইডিতে লুকিয়ে আছে? বর্তমানে, ইডি এই ইমেল আইডিটির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করছে।
প্রথম পর্যায়ে, ইডি আধিকারিকরা তিনটি সংস্থার সন্ধান করেছিলেন যেখানে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় একজন পরিচালক ছিলেন। এর মধ্যে একটি সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড এবং একটি সিম্বিওসিস মার্চেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড। অর্পিতার ই-মেইল আইডি এই দুটি কোম্পানিতে নিবন্ধিত। প্রথমে বিষয়টি ইডি আধিকারিকদের নজরে না এলেও পরে বেলঘরিয়ায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ক্লাব টাউন হাইটসের ফ্ল্যাটের ঠিকানা তল্লাশি করে নথি তল্লাশির সময় সামনে এসেছে অর্পিতার ই-মেইল আইডি।
শুধু তাই নয়, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার প্রায় ৭টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। কলকাতা সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ইডি-র সাতটি দল রওনা হয়, যার মধ্যে দুটি দল দক্ষিণ কলকাতায় গিয়েছিল এবং বাকি পাঁচটি দল রাজ্যের অন্যান্য এলাকায় গিয়েছিল। এখনও কিছু জায়গায় অভিযান চলছে, যার মধ্যে কলকাতার পণ্ডিতিয়া এলাকার ফ্ল্যাটে এখনও অভিযান চলছে। অর্পিতার 'পার্লার ম্যাজিক টাচ'-এও অভিযান চালায় ইডি।
সূত্রের খবর, এখনও বরখাস্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডিকে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করছেন না। তিনি সাধারণত একটি বা দুটি শব্দের উত্তর দেয়, 'হ্যাঁ, না, জানি না এবং মনে নেই'। পার্থ এখনও বলছেন, 'টাকা উদ্ধারের কথা শুনেছি, কিন্তু এই টাকা আমার নয়।' পার্থ ও অর্পিতার বক্তব্যে বিস্তর ফারাক থাকায় দুজনকেই সামনাসামনি জেরা করে কোনও লাভ নেই বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা।
বর্তমানে, ইডি জিজ্ঞাসাবাদের পুরো পর্বের ভিডিও রেকর্ডিং করছে। পার্থ ও অর্পিতা- দুজনকেই আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার আবার আদালতে হাজির করা হবে।
No comments:
Post a Comment