যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে বাগদায় গ্ৰেফতার দুই বিএসএফ জওয়ান। এই ধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূলের সভা। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীরা।
বাগদার জিৎপুরে এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে দুই বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে তার পাঁচ বছরের সন্তানের সামনে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। নির্যাতিতা মহিলা শুক্রবার বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ, আলতাফ হোসেন ও এসপি চেরো নামে দুই জওয়ানকে গ্রেফতার করে। শনিবার তাদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি নির্যাতিতারও গোপন জবানবন্দি নেয় আদালত।
রবিবার বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে একটি বিদ্যালয়ের মাঠে প্রতিবাদ সভা করে তৃণমূল। প্রতিবাদ সভায় যোগদান করার আগে কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা, মমতা বালা ঠাকুর ধর্ষণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘুরে দেখেন সীমান্ত এলাকা, কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। বিএসএফের এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কুনাল ঘোষ, শশী পাঁজারা।
এদিনের প্রতিবাদ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা, পার্থ ভৌমিক, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা-নেত্রী।
ধর্ষণের ঘটনার পরে বিএসএফ বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে কোনও রকম দুঃখ প্রকাশ করা হয়নি, কেন্দ্রের মানবাধিকার কমিশন, নারী সুরক্ষা কমিটি কেন ঘটনাস্থলে এল না বা নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলল না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কুণাল ঘোষ।
এদিনের সভা মঞ্চে বক্তৃতায় রাখার সময় বিজেপিকে তোপ দাগেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তাঁকে বলতে শোনা যায়, বিজেপি নেতাদের চরিত্র খারাপ, তাদের কাছ থেকেই বিএসএফ কর্মীরা এমন আচরণ শিখেছেন।
No comments:
Post a Comment