শ্রীলঙ্কার পর জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম 51 শতাংশ বাড়িয়ে এখানে সবকিছু ঠিকঠাক নয় বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত অর্থবছরে দেশে মোট ঋণ ছিল 13 হাজার 114 মিলিয়ন ডলারের বেশি। রিপোর্টে বলা হয়, গত তিন বছরে প্রতি বছর সরকারের ওপর 164.5 মিলিয়ন ডলারের ঋণ বেড়েছে।
ঋণে জর্জরিত বাংলাদেশ সরকার আর্থিক সহায়তার জন্য বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে দ্বারস্থ হয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও এডিবির কাছে 100 মিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। একই সঙ্গে 450 মিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে আইএমএফ। আইএমএফ বাংলাদেশকে সাহায্য করতে রাজি হলেও কত টাকা দেবে তা স্পষ্ট করেনি।
সরকারের তথ্যমতে, দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ 400 মিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। গত বছর এটি ছিল $4800 মিলিয়ন। 2021-22 সালে, রপ্তানি আয়েও $ 5208 মিলিয়ন লোকসান হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, 2020-21 সালে বাংলাদেশের জিডিপি অনুপাত ছিল 9.4 শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় এই হার ছিল সর্বনিম্ন। 16.4 কোটি জনসংখ্যার দেশে 74 লাখ করদাতা রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র 23 লাখ মানুষ কর জমা দিয়েছেন।
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেন, আইএমএফের কাছে ঋণ চাওয়া হলেও অর্থনীতিতে কোনও সমস্যা নেই। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঋণ ও বাজেট পরিশোধে ঋণ চেয়েছে। কবে, কত ঋণ পাবে তা জানা যায়নি।
No comments:
Post a Comment