বর্ধমান এক সময় লাল কেল্লা নামে পরিচিত ছিল। আজ বর্ধমানে বামেদের প্রাক্তন শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। মঙ্গলবার বামপন্থীরা কার্যত তাদের শক্তির পরিচয় দিয়েছিল। "চোর ধরো জেলে ভরো" আন্দোলনের কারণে কার্জন গেটের কাছে সময়ে সময়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বাম নেতাকর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙ্গে এগিয়ে যেতে চায়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। কিন্তু বামেরা সেদিন কার্যত রাজপথে নেমেছিল। পুলিশ লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ এবং জলকামান ব্যবহার করে বামপন্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অনেক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে বামপন্থীদের এই রূপ দেখে হতবাক হয়েছেন অনেকেই। অনেক ক্ষেত্রেই বিক্ষোভকারীদের লাঠি নিয়ে তেড়ে দেখা গেছে। প্রবল বৃষ্টিও হচ্ছে। দফায় দফায় বিক্ষোভে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিশ্ব বাংলার চিহ্নও ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, "পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ে। একজন পুলিশ অফিসার ইশারা করলেন। সব পুলিশ এগিয়ে আসেন। চলে লাঠিচার্জ। পুলিশ তাদের মাথায় মেরেছে। আমরা কেউ নাশকতা করিনি। খারাপ কথা বলা হচ্ছে।"
No comments:
Post a Comment