আমাদের সমাজে একটা বয়সের পর বিয়ের চাপ সবাইকেই বহন করতে হয়। সে মেয়ে হোক বা ছেলে। হ্যাঁ, শুধু পরিবারের সদস্যরাই নয়, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়রাও বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। অন্যদিকে তাদের কথা না শুনলে ঘরে বিদ্রোহের মতো পরিবেশ তৈরি হয়। কিন্তু কখন বিয়ে করবেন এবং কার সাথে করবেন।এই সিদ্ধান্ত আপনার হওয়া উচিত। দেরিতে বিয়ে করা ভুল নয়, তবে ভুল মানুষকে বিয়ে করা ভুল হতে পারে।
দেরীতে বিয়ে করার সুবিধা -
স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার সুযোগ পান -
দেরিতে বিয়ে করার নিজস্ব সুবিধা রয়েছে। এটি আপনাকে নিজেকে বোঝার এবং স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ দেয়। নিজেকে ভালো বুঝতে পারবেন। একই সাথে, বিয়ে করার পর ব্যক্তিটি নিজের থেকে দূরে চলে যায়। এমতাবস্থায় দেরিতে বিয়ে করলে আপনার সব ইচ্ছা পূরণ করা সম্ভব, অথচ অল্প বয়সে বিয়ে আপনাকে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে দেয় না, এই কারণেই আপনি বিয়ে করার সাথে সাথে পারিবারিক দায়িত্বের মধ্যে চাপা পড়ে যান।
আর্থিক উদ্বেগ হ্রাস করা যেতে পারে-
যারা দেরিতে বিয়ে করেন তাদের অধিকাংশই আর্থিকভাবে শক্তিশালী। তাই তার পরিবারকে আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয় না। অন্যদিকে, যারা অল্প বয়সে বিয়ে করেন, তাদের কর্মজীবন শুরু হয়, যার কারণে তাদের অনেক আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়। যার কারণে তারা খুব খিটখিটেও হয়ে পড়ে। তাই আর্থিকভাবে শক্তিশালী না হলে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেবেন না।
সম্পর্কের মধ্যে সততা থাকে-
সঠিক জীবনসঙ্গী খোঁজার কারণে অনেকেই দেরিতে বিয়ে করেন। আপনি এই জিনিসটিও জানবেন যে পরিশ্রম করে প্রাপ্ত জিনিসের অনেক মূল্য রয়েছে। বিয়ের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। যারা দেরিতে বিয়ে করেন তাদের মধ্যে সম্পর্কের প্রতি সততা এবং শক্তি থাকে।
No comments:
Post a Comment