আত্মহত্যার চেষ্টা নাবালিকার, প্রাণ বাঁচাল নাবালক! তারপরই শুরু প্রেম - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 6 August 2022

আত্মহত্যার চেষ্টা নাবালিকার, প্রাণ বাঁচাল নাবালক! তারপরই শুরু প্রেম



পরিবারের সদস্যদের উপর বিরক্ত। আত্মহত্যার চেষ্টা নাবালিকার। প্রাণ বাঁচাতে এল নাবালক। তারপর শুরু হয় প্রেমের গল্প।  এটি কোনও চলচ্চিত্রের গল্প নয়, বাস্তবতা।  ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের গোন্ডা জেলার।  এখানে বসবাসকারী এক নাবালিকা পরিবারের সদস্যদের উপর এতটাই বিরক্ত হয়ে ওঠে যে সে তার জীবন দিতে চলে যায়।  তা দেখেই প্রাণ বাঁচাতে সুপারহিরোর মতো পৌঁছে গেল ছেলেটি।  মেয়েটি ছেলেটিকে দেখে মুগ্ধ হল।  এখানেই বালি উমর একে অপরের প্রেমে পড়ে।



 এরপর দুজনের মধ্যে প্রেমের গল্প শুরু হয়।  তিন বছর কেটে গেছে, দুজনেই তখনও নাবালক।  দুজনেই একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিল, তাই একদিন বাড়ি থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন, কিন্তু বেরেলি জংশনে জিআরপি ধরা পড়লে গোটা বিষয়টি সামনে আসে।  ছেলেটি জিআরপির কাছে তার প্রেমের গল্প বলেছে।  এরপর উভয়ের পরিবারের সদস্যদের ডেকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।



 মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা গোন্ডায় নিখোঁজ লিখেছিলেন।  পুলিশ তাকে খুঁজতে থাকে।  বৃহস্পতিবার রাতে বেরেলি জংশনে মেয়েটির ফোনের লোকেশন পাওয়া যায়।  সঙ্গে সঙ্গে প্ল্যাটফর্ম চেক করতে জিআরপিকে জানানো হয়।  দলটি নাবালক প্রেমিক যুগলের খোঁজ শুরু করে।  রাতে এক নম্বর প্লাটফর্মে পাওয়া যায় তাদের।  জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুজনই প্রথমে বিভ্রান্তিকর করতে থাকে, তাদের ফোন চেক করা হলে জানা যায় প্রেমের গল্প।



নাবালক বলে, "স্যার, অনেক বছর আগে মেয়েটি তার পরিবারের লোকজনের কাছে বিরক্ত হয়ে আত্মহত্যা করতে স্টেশনে পৌঁছেছিল।  আমি তাকে বাঁচালাম।  এই মেয়ে প্রেমে পড়ে গেল।  তিন বছর ধরে দুজনেই একে অপরের প্রেমে মগ্ন।  এখন বিয়ে করতে চাই। মেয়েটির বয়স এখন 13 বছর।" যদিও ছেলেটির বয়স প্রায় ১৫ বলা হচ্ছে।  জিআরপি পরিদর্শক ধ্রুব কুমার জানিয়েছেন, ছেলে ও মেয়ে দুজনেই নাবালক।  পরিবারের সদস্যরা এসেছেন বরেলিতে।  চাইল্ডলাইনের মাধ্যমে কাউন্সেলিং করা হবে।  দুজনকেই পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad