শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন হেভিওয়েট মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রেসিডেন্সিতে, তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় আলিপুর মহিলা মডিফিকেশনে রয়েছেন৷ আদালতের নির্দেশে সংশোধনাগারে আছেন। সম্প্রতি, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় লাইমলাইটে আসেন। বিলাসবহুল জীবন ত্যাগ করে তারা দুজনই এখন সংশোধনাগারের পরিবেশে অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন। কারা সূত্রে খবর, এখনও সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না অর্পিতা। যদিও, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই পরিবেশে নিজেকে ধাতস্ত করার চেষ্টা করছেন এবং রামকৃষ্ণ পরমহংসের 'কথামৃত' পাঠে মন নিয়োজিত করছেন।
পার্থর জন্য কোনও বিশেষ সেলের ব্যবস্থা করা হয়নি। বাকি বন্দীদের সঙ্গেই তাকে থাকতে হয়। জেল হেফাজতের শুরুতে পার্থকে চারটি কম্বল দেওয়া হলেও বসার অস্বস্তির কারণে তাকে খাট দেওয়া হয়েছে। ভারী ওজনের কারণে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সেখানে প্রথম রাত কমোডে বসেই কাটাতে হয়েছিল।
অন্যদিকে, আলিপুর মহিলা মডিফিকেশন হাউসে বন্দি পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তিনি একাকীত্বের জন্য আবেদন করেছেন। তিনি কারও সাথে বেশি কথা বলতে চান না, চুপচাপ থাকে। মঙ্গলবার সকালে সংশোধনাগার থেকে তাকে একটি বই দেওয়া হয়। যদিও অর্পিতার বই পড়ার খুব একটা শখ নেই। খবরের কাগজও মোটেই পড়ছে না। তিনি শুধু সংশোধনাগার থেকে দেওয়া খাবারই খাচ্ছেন এবং বেশিরভাগ সময় নীরব ও শান্ত থাকেন। অন্য বন্দীদের সাথে কথা বলেন না।
অন্যদিকে, প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় রামকৃষ্ণ পরমহংসের জীবনী 'কথামৃত' এবং 'অখণ্ড অবসর' পড়ছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। পার্থ আগের থেকে অনেক স্বাভাবিক। তার হাঁটুর ফোলা কিছুটা কমেছে, কিন্তু পিঠের ব্যথা বেড়েছে। তিনি রাজনীতির ওপর অনেক বই অর্ডার করেছেন। খাচ্ছেন শুধু জেলের দেওয়া খাবার। জেলের ড্রামের জলে স্নান এবং সাধারণ টয়লেট ব্যবহার করছেন। বাড়তি কোনও সুযোগ-সুবিধা নেবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন তিনি। এদিকে জানা গেছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় একজন আইনজীবীর মাধ্যমে অর্পিতার খোঁজখবর নিয়েছেন এবং তাকে আরও ভালো আইনি সুবিধা দিতে বলেছেন।
No comments:
Post a Comment