অমিত শাহের কাছে ১০০ তৃণমূল নেতার তালিকা হস্তান্তর শুভেন্দুর!

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।  সংসদ ভবনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ৪৫ মিনিট বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী।  মিটিং শেষ হওয়ার পরে, শুভেন্দু অধিকারী বলেন যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে আমার কাছে যে তথ্য ছিল তা আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে শেয়ার করেছি। তারা একসাথে তৃণমূলের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে।

 একই সময়ে, শুভেন্দু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন যে ১০০ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।  বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী অমিত শাহের কাছে দাবী করেন যে এক লাখেরও বেশি বেকার লোকের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং কোটি কোটি ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত নষ্ট করা হয়েছে, তাই এই দুর্নীতির সাথে জড়িত কাউকে রেহাই দেওয়া উচিৎ নয়।  একই সাথে, শুভেন্দু অধিকারী অমিত শাহের কাছে দ্বিতীয় দাবী করেন যে উভয় কক্ষে সিএএ পাশ হওয়ার পরে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর নিয়মগুলি তৈরি করা উচিৎ এবং শীঘ্রই এটি বাংলায় প্রয়োগ করা উচিৎ।

 সূত্রের খবর অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুভেন্দু অধিকারীকে আশ্বস্ত করেন যে করোনার তৃতীয় ডোজ সবাইকে দেওয়ার পরপরই সিএএ কার্যকর করার কাজ ত্বরান্বিত করা হবে।  একই সঙ্গে আজ,মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করবেন শুভেন্দু অধিকারী।  দু’টি বৈঠকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্নীতির বিষয়ে গোটা বাংলায় আন্দোলন চালানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে শুভেন্দু অধিকারীর কথোপকথনের সময়, বিজেপি সংগঠনের কার্যকারিতা সম্পর্কিত অনেক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।  শুভেন্দু অধিকারী বলেন যে সংগঠন সম্পর্কে আলোচনা পাবলিক ফোরামে বলা যাবে না, তবে তিনি অবশ্যই বলেন যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংগঠনের শক্তি এবং সম্প্রসারণ সম্পর্কিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন।

 

 বুধবার দিল্লীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগমন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তার সম্ভাব্য বৈঠকের আগে অমিত শাহের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর ইডি-র পদক্ষেপের পরে, বিজেপি বাংলায় আন্দোলন চালানোর কথা ভাবছে।

 

 এসএসসি কেলেঙ্কারি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করেন শুভেন্দু।  মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে, বিজেপি নেতা জিজ্ঞাসা করেছিলেন কেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইডি-র গ্রেপ্তার সত্ত্বেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রী হিসাবে রেখেছেন।  তিনি রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন এবং শিল্প, বাণিজ্য ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর দাবী জানিয়েছিলেন।