সানডে-মানডে মনে না থাকায় পড়ুয়াদের নির্মম ভাবে মারধর। গৃহশিক্ষিকার অমানবিক আচরণে নিন্দার ঝড়। ঘটনা দিল্লীর ভালসওয়া এলাকার মুকন্দপুরের। দিল্লী কমিশন ফর উইমেনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়ালও এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, 'দিল্লীর ভালসওয়া ডেইরি এলাকায় ভয়াবহ ঘটনা। ৬ ও ৮ বছরের নাবালিকাকে রুমে আটকে রেখে নির্মমভাবে মারধর করেছে টিউশন শিক্ষক। শিক্ষিকাকে গ্রেফতারের জন্য দিল্লী পুলিশের কাছে স্বাতী মালিওয়ালের নোটিশ।'
তথ্য অনুযায়ী, কুলদীপ নামে এক শিক্ষিকার কাছে এক মাস ধরে টিউশনি পড়ছিল ৮ বছরের কামিনী ও ৬ বছরের শিবানী। গত ৩০ আগস্ট কামিনী ও শিবানী টিউশনি পড়তে গেলে শিক্ষিকা তাদের টেবিল সানডে-মানডে এবং ফলের নাম জানতে চাইলে তারা তার উত্তর দিতে পারেনি। এরপর শিক্ষিকা কুলদীপ তাকে প্লাস্টিকের লাঠি দিয়ে নির্দয়ভাবে মারধর করেন।
দুই বোনের শরীরে মারধরের চিহ্নই বলে দিচ্ছে শিক্ষিকার বর্বরতার কাহিনী। তাদের দুজনের শরীরে আঘাতের চিহ্নই এটা বোঝানোর জন্য যথেষ্ট যে কতটা নৃশংস আচরণ তাদের প্রতি ঘটেছে। নির্যাতিতা মেয়েদের মা বাসন্তী জানান, টিউশনি থেকে শিশুরা প্রায় অজ্ঞান অবস্থায় বাড়িতে পৌঁছায়। এমনকি মেয়েদের সামনে শিক্ষিকার নাম নিলে তারা ভয়ে চুপসে যায়। ঘটনার দিন তাদের হাত-পা মারাত্মকভাবে ফুলে গিয়েছিল। তার হাত, পায়ে ও মাথায় সর্বত্র আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নির্যাতিতা মেয়েদের বাবা তিলক সিং জানিয়েছেন যে, তিনি শিক্ষিকার বর্বরতার বিষয়ে ভালসওয়া থানায় অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিল্লী কমিশন ফর উইমেন চেয়ারপারসন স্বাতী মালিওয়াল দিল্লী পুলিশকে নোটিশ জারি করেছেন এবং এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন।
দিল্লী মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল আর্নের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। তিনি বলেছেন, 'হোমওয়ার্ক না করায় ৮ বছর ও ৬ বছরের ছোট মেয়েদের রুমে আটকে রেখে নির্মমভাবে মারধর করেছে তাদের টিউশন শিক্ষিকা। মেয়েদের শরীরে ক্ষত চিহ্নগুলো ভয়াবহ।'
No comments:
Post a Comment