যদি আপনার ওজন বেশি হয়, তাহলে আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় খাবার কমিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু এটা পুরোপুরি ঠিক নয়। যারা ওজন কমাতে চান তাদের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ফাইবারের মতো পুষ্টি উপাদান অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর জন্য আপনি আপনার ডায়েটে ওটস অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
যদি আপনার ওজন বেশি হয়, তাহলে আপনি আপনার ডায়েটে ওটস অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। কারণ ওজন কমানোর জন্য এটি একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। ওটসে রয়েছে বিটা গ্লুকান, যা শুধু খাবার হজমে সাহায্য করে না। এছাড়া এটি শরীরে এনার্জি লেভেল ঠিক রাখে। এতে বেশি খিদে লাগে না। এতে ফাইবারও বেশি থাকে, যার কারণে আপনার হজমশক্তি ভালো থাকে। এতে উপস্থিত ফাইবার আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ অনুভব করে। যার কারণে অনেকক্ষণ খাবার খাওয়ার ইচ্ছা থাকে না।
ওটস আমাদের শরীরে চর্বি জমতে বাধা দেয়। ওটস খাওয়ার পর পেটে জেলের মতো দ্রবণ তৈরি হয়, যা ওজন কমাতে সহায়ক। এ কারণে ওটস খাওয়ার পর অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। পেট ভরা থাকার কারণে খাবার খেতে কম আসে। এটি আপনার হজমে ভালো ব্যাকটেরিয়া তৈরিতেও সাহায্য করে।
ওটসের ডায়েট প্ল্যান এইভাবে তৈরি
আপনি যদি ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তবে একবার বা দুইবার কম খাবার খেলে কাজ হবে না। এর জন্য ওটসের ডায়েট প্ল্যান করতে পারেন।
ওজন কমানোর জন্য কীভাবে ওটস খাওয়া যায়
আপনি যদি সকালের জলখাবারে ওটস খান, তাহলে ১ কাপ স্কিমড মিল্কের মধ্যে আধা কাপ ওটস মিশিয়ে নিন। এটি সপ্তাহে 3-4 বার নিন। বেশি উপকার পেতে হলে পানির সাথে খেতে হবে। আপনি যদি লাঞ্চ বা ডিনারে ওটস খাচ্ছেন, তাহলে এক কাপ পূর্ণ ওটস নিন, আধা কাপ বাদাম দুধ বা সয়া দুধ যোগ করুন। একটি স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করতে এতে আপনার প্রিয় সব ফল যেমন বেরি, পীচ, আপেল যোগ করুন।
No comments:
Post a Comment