পাকিস্তানে আবারও হিন্দু মহিলার উপর হামলার ঘটনা সামনে এসেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চুরির মিথ্যা অভিযোগে ওই নারীকে মারধর করা হয়েছে। এই হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে মানুষ। বাহাওয়ালপুরে জেলা পুলিশ অফিস এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বাইরে বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়। তাদের দাবী, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর নৃশংসতা বন্ধ হোক।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন যে হিন্দু মহিলাকে চুরির মিথ্যা অভিযোগের নামে মারধর করা হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত নারী ইয়াজমান মান্ডি এলাকার বাসিন্দা। সে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করত। চুরির অভিযোগে তার বাড়িতে হামলা চালায় কয়েকজন। মহিলাকেও লাঞ্ছিত করা হয়।
স্থানীয়দের দাবী, হামলার পর ওই নারীকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে চিকিৎসক তাকে চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করেন। এমনকি তিনি মেডিক্যাল সার্টিফিকেটও দেননি। সমাবেশে কয়েকজন সংখ্যালঘু নেতা বক্তব্য রাখেন এবং বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানান। একই সঙ্গে হামলাকারী ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান তিনি।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে প্রায়ই সংখ্যালঘুদের অপহরণ, খুন, ধর্ষণ এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার ঘটনা ঘটছে। এই করুণ অবস্থা উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে নারী ও সংখ্যালঘুদের প্রতি সহিংসতার ঘটনা বাড়ছে। দেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্লাসফেমি আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনও এর টার্গেটে পরিণত হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment