কয়লা পাচার কাণ্ডে বিস্ফোরক দাবী করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার বিধানসভা চত্ত্বরে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু অধিকারী দাবী করেন, কয়লা পাচারের পুরো নেটওয়ার্ক কাজ করছে। মোট দুর্নীতির পরিমাণ ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এতে ১০০০ কোটি টাকা চলে গেছে একজন রাজনৈতিক প্রভাবশালী রাজনীতিকের কাছে, যদিও তিনি কারও নাম প্রকাশ করেননি। এদিকে শুভেন্দুর এই বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েনি তৃণমূলও।
তিনি বলেন, সিবিআই এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে। গুরুপদ মাঝির বিরুদ্ধে দিল্লীর আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আগামী ১২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে কয়লা পাচার মামলার শুনানি হওয়ার কথা। তাতেই সব গোপন কথা ফাঁস হবে।
রাজ্যের বিরোধী দল নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী যদিও কোনও ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেননি, তবে তাঁর দাবী, প্রভাবশালী ওই ব্যক্তি রাজ্য প্রশাসনের অন্যতম নিয়ন্ত্রক। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যেহেতু এই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সেই কারণে তিনি কোনও অভিযুক্তর নাম বলতে চান নি।
শুভেন্দু অধিকারী এদিন আবারও বঙ্গভঙ্গের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন এবং অভিযোগ করেন, “ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবনের গ্রামীণ এলাকা বঞ্চিত। রাজ্যকে সেই পরিবার থেকে মুক্ত করা আবশ্যক, যেটি কালীঘাট নালার কাছ থেকে শোষণ করছে। বিভাজন কোনও সমস্যার সমাধান নয়। ভবানীপুর কোম্পানির হাত থেকে রাজ্যকে বাঁচাতে হবে।"
২৪০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি ইস্যুতে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়, রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন যে, তিনি দু-তিন বছর আগে শাসক দলে ছিলেন। মানে তিনি নিজেও এর সাথে জড়িত। অন্যদিকে, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'অভিষেক ফোবিয়ায় ভুগছেন শুভেন্দু অধিকারী। আজও শুভেন্দু অধিকারীর সাথে অনেক বিধায়ক ছিলেন, যারা তৃণমূলে যোগ দিতে প্রস্তুত। সর্বক্ষণ যোগাযোগে আছেন।'
তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, 'অভিযোগ করলে কারও নাম নিয়ে অভিযোগ করুন। সাহস থাকলে এমন লোকের নাম নিন। তিনি এভাবে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন।'
No comments:
Post a Comment