অ্যামনেসিয়া অল্প বয়সেই মানুষের উপর প্রভাব ফেলে। তবে বয়স যখন ৭০-৮০ ছাড়িয়ে যায় তখন ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের কোষগুলো শুকিয়ে যেতে থাকে। তখনই একজন ব্যক্তির স্মৃতিশক্তির সমস্যা শুরু হয়।
ওষুধ:
যৌবনে আমরা বেশিরভাগই জ্বর, কাশি বা মাথাব্যথার মতো সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই মেডিক্যাল স্টোর থেকে ওষুধ কেনার ভুল করি। এই ওষুধগুলি আমাদের শরীরে খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। কারণ আমরা জানি না আমাদের সমস্যা অনুযায়ী কত মিলিগ্রামের ওষুধ খেতে হবে এবং দ্বিতীয়ত আমরা জানি না আমাদের সমস্যায় কোন লবণের কম্পোজিশনের ওষুধ জরুরি।
বিশেষ করে অ্যান্টি-অ্যাংজাইটি, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট এবং অ্যান্টিহিস্টামিন ড্রাগগুলি স্মৃতিতে সবচেয়ে খারাপ প্রভাব ফেলে, যদি তাদের সঠিক ডোজ এবং কম্পোজিশন সঠিক মাত্রায় ব্যবহার না করা হয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যেকোনও ধরনের ওষুধ খাওয়া উচিৎ।
এছাড়া অ্যালকোহল পান, তামাক খাওয়া, ড্র্যাগ নেওয়া, খুব বেশি চা পান করা, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, চাপের মধ্যে থাকা, শারীরিক ক্ষমতার বাইরে কাজ করা, বেশি সক্রিয় থাইরয়েড, এইচআইভি, টিবি, সিফিলিস হলেও এই সমস্যা হয়ে থাকে।
চিকিৎসা:
যদি কম বয়সে ভুলে যাওয়ার সমস্যা হয়ে থাকে, তবে প্রথমে নিজের জীবনযাত্রার দিকে নজর দিন এবং এর কারণগুলি খুঁজে বের করুন। যদি কোন লাভ না হয়, তাহলে নির্দ্বিধায় একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা নিউরোলজিস্টের পরামর্শ নিন।
No comments:
Post a Comment