উজ্জয়িনী নগরে স্থাপিত মহাকালকে প্রতিদিন ভাং ও কয়েক লিটার মদ ভোগ হিসেবে দেওয়া হয়। এখানে রয়েছে দেবী মার মন্দিরও , মহাঅষ্টমীর দিন মদ ভোগ হিসেবে দেওয়া হয়। আর সেই মদ দিয়ে থাকেন কালেক্টর নিজেই। আর এর পরে, অন্য সমস্ত দেব-দেবীকে তা নিবেদন করা হয়।
শহরের এই প্রাচীন ও ঐতিহাসিক মন্দিরগুলো চব্বিশ স্তম্ভ। এখানে ফটকের দুই পাশে মহালয়া ও মহামায়ার দুই দেবীর মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।
সম্রাট বিক্রমাদিত্যও এই দেবীর পূজো করতেন। এই মন্দিরটি মহাকালেশ্বর মন্দিরের কাছে অবস্থিত। মন্দিরটিতে দ্বাদশ শতাব্দীর একটি শিলালিপি ছিল, যাতে লেখা ছিল যে, আনহিলপত্তনের রাজা নগর ও চতুর্বেদী বণিকদের অবন্তিকাতে বাণিজ্য করার জন্য এখানে এসেছিলেন।
নগর প্রতিরক্ষার জন্য চব্বিশটি স্তম্ভ রয়েছে, এই কারণে একে চব্বিশ স্তম্ভের দরজা বলা হয়। একে ২৪ খাম্বা মাতার মন্দির বলা হয়। উত্তর দিকে অবস্থিত এই দরজাটি বিশাল। আগে এই দরজাই ছিল শ্রী মহাকালেশ্বর মন্দিরের প্রধান প্রবেশদ্বার। মা এখানে নিয়মিত পূজো পান। আগে এখানে বলি প্রথার চল হলেও এখন তা নিষিদ্ধ হয়েছে।
প্রাচীনকালে নবরাত্রি উৎসবের অষ্টমীতে জায়গীরদার , জমিদাররা পূজো করত। আজও মেনে চলা হয় সেই প্রথা ।
No comments:
Post a Comment