শেষ হল কঠিন লড়াই। চিরতরে ঘুমের দেশে পাড়ি জমালেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। রবিবার দুপুর ১২.৫৯ নাগাদ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। শনিবার রাত থেকে ১০ বার হার্ট অ্যাটাক হয় ঐন্দ্রিলার। গত ১ নভেম্বর থেকে হাওড়ার এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এর আগেও কঠিন লড়াই জিতে ফিরেছিলেন তিনি। কিন্তু এবারে আর কোনও মিরাকেল ঘটল না। মাত্র ২৪ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা। শোকে ডুবল পরিবার সহ গোটা বিনোদন জগৎ।
১লা নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেত্রী। এই নিয়ে টানা তৃতীয় বার জীবন মরন লড়াইয়ের ময়দানে ঐন্দ্রিলা। ২০১৫ সালে মারণ রোগ ক্যান্সার বাসা বাঁধে তাঁর শরীরে। বোন ম্যারো ক্যান্সারের চিকিৎসা হয়েছিল দিল্লীতে। সেই লড়াই শেষ হতে না হতেই ২০২১ সালে ডান ফুসফুসের টিউমার ধরা পড়ে অভিনেত্রীর। সেই সময়ও জয়ী হন তিনি। কাছের মানুষ সব্যসাচী চৌধুরীর লড়াইয়ে হার মানে সমস্ত নেতিবাচকতা। কিন্তু ফের দুর্ঘটনা। চলতি মাসেই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলেন ঐন্দ্রিলা। রাতদিন তাঁর পাশে ছিলেন সব্যসাচী। তাদের এই প্রেমকাহিনীর নিত্য সাক্ষী থেকেছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে অনুরাগীরা সকলেই।
মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর সকালে এপিসোড হার্ট অ্যাটাকের খবর মেলে ঐন্দ্রিলার। মাঝরাতে হঠাৎ করেই তাঁর মৃত্যুর ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সব্যসাচী লিখেছিলেন, 'ওকে আর একটু থাকতে দাও, এসব লেখার অনেক সময় পাবে।'সকলেই আশা করছিলেন এবারেও ঠিক কিছু মিরাকেল ঘটবে, এই লড়াই জিতেও ঠিক ফিরে আসবেন ঐন্দ্রিলা।
কিন্তু কোথাও যেন একটা আশঙ্কাও ঘর করেছিল মনের গভীরে। শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই সব্যসাচীর ফেসবুক পেজ থেকে সব পোস্ট মুছে যায়। যদিও তার কারণ জানা যায়নি। তবে, অজানা শঙ্কা কাজ করছিল। কারণ দুদিন আগেও সব্যসাচী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ঐন্দ্রিলার জন্য প্রার্থনা করতে বলেন। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করলেও মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হতে শুরু করে, তাও কিছুটা হলেও উন্নতি হচ্ছিল তাঁর স্বাস্থ্যের। চিকিৎসকরাও আশা করছিলেন ঠিক কিছু একটা মিরাকেল ঘটবে। কিন্তু, হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যের পর থেকে ১০ বার হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর, চিকিৎসকদের কড়া নজরে ছিলেন তিনি। তবে লড়াইয়ে জ্যোতিচিহ্ন পড়ল। ২০ দিনের কঠিন লড়াইয়ে হার মানলেন ঐন্দ্রিলা।
No comments:
Post a Comment