'ডিসেম্বর রহস্য' নিয়ে ফের সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ভূপতিনগরে এক সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'ডিসেম্বরে রাজ্যের সবচেয়ে বড় ডাকাত ধরা পড়বে।' তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “চোরের মায়ের বড় গলা। সিবিআই, ইডির নিরপেক্ষতা দেখানোর জন্য আগে তাকে গ্রেফতার করা উচিৎ।"
গত শুক্রবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী, অগ্নিমিত্র পাল এবং মনোজ টিগ্গা। দলীয় কর্মীদের কাছে পরিষ্কার করে দেওয়া যে বিরোধীরা যেন 'সেটিং থিওরি'র সুযোগ না পায়, শুভেন্দু অধিকারী সেদিন বিজেপির বৈঠকে বলেন, “আমি বুঝতে পারছি ডালে কিছু কালো আছে। আমাকে একা চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বিজেপি কর্মীরা মনে করবে সেটিং হচ্ছে, তাই আমি শর্ত দিই যে, বিধায়কদের সঙ্গে আসব।"
রাজ্যের শাসক দল ছাড়াও নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক পুলিশ প্রশাসনকে কড়া হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “জনগণের সমর্থন কম থাকায় তোলামূল একদিকে সহিংসতার পথ অবলম্বন করেছে, অন্যদিকে পুলিশ বড় সন্ত্রাসী ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে দেওয়া হয়েছে। শোনো পুলিশ বাবা! একদিন এই পুলিশকেও বিজেপির অধীনে কাজ করতে হবে।"
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এ ধরণের ভাষাই ওকে মানায়। তার সিবিআই বাবা, ইডি বাবা আছে। আমাদের তৃণমূল কর্মীদের সিবিআই, এনআইএ মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমাদের কর্মীদের আটক করা হয়েছে। এমনকি আমাদের রাজ্যের পুলিশও এটা করা হলে বসে থাকবে না। তারা একই ভাষায় উত্তর পাবে।"
তিনি বলেন, “সিবিআই-ইডি কী অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির স্পনসরড এজেন্সি হিসেবে কাজ করছে? সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির একটি ব্র্যান্ড ভ্যালু রয়েছে। এ কেমন রাজনীতি দেশে, যেখানে কেউ আগাম বলে, গ্রেফতার হবে, গ্রেফতার করা হবে।”
No comments:
Post a Comment