ইউরিক অ্যাসিড হল একটি প্রাকৃতিক বর্জ্য পদার্থ যা শরীরে পিউরিন যুক্ত খাবার হজমের পর উৎপন্ন হয়। লোকেরা হাই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভোগেন, যখন তাদের কিডনি কার্যকরভাবে ইউরিক অ্যাসিড নির্মূল করে না। যদি আপনিও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। পরিবর্তে, আপনার প্রোটিনের উৎসযুক্ত খাদ্যের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। যেমন- একটি বিকল্প হল ডিম। তবে, সমস্ত স্বাস্থ্যকর জিনিসই সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিৎ, আর ডিমের ক্ষেত্রেও তাই।
আপনি যদি উচ্চতর ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছে,ন তবে আপনার কী খাওয়া এবং কী এড়ানো উচি?
চেরি, কফি, চা, সবুজ চা, কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার, উদ্ভিজ্জ তেল, শাকসবজি, লেবু, বাদাম ও বীজ, ডিম এবং গোটা শস্যজাত খাবার খাওয়া উচিৎ। কারণ এগুলো ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যন্নতি করে। অন্যদিকে, অঙ্গ ও গ্রন্থিযুক্ত মাংস যেমন লিভার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, লাল মাংস যেমন; ভেড়া, খাসি ইত্যাদি, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট যেমন; চিনি, সাদা রুটি, পাস্তা এবং চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।
এককথায়, ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবারগুলি আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ এবং বেশি চিনি-সমৃদ্ধ খাবার, পনির, মটর, কিডনি বিন ইত্যাদি খাওয়া থেকে দূরে থাকা উচিৎ।
কেন ডিম?
ডিম প্রোটিনের একটি বড় উৎস হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটি ভিটামিন বি 12, ভিটামিন ডি, প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এছাড়াও, এটি আয়রনের একটি দুর্দান্ত উৎস। ডিমের হলুদ অংশে রয়েছে আয়রন, যা অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে। আপনি যদি উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন, তবে আপনার নিয়মিত ডিম খাওয়া উচিৎ, তবে সীমিত পরিমাণে।
ডিম খাওয়ার ৩টি সহজ ধাপ:
ধাপ ১
ডিম সেদ্ধ করে জলখাবার হিসেবে খেতে পরেন। চাট মসলা বা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ডিম খেতে পারেন। এছাড়াও, আপনি দুপুরের খাবারের জন্য একটি ডিমের সালাদ স্যান্ডুইচও তৈরি করতে পারেন।
ধাপ ২
ভিনেগারযুক্ত জলে ডিম পোচ করে খেতে পারেন।
ধাপ ৩
আপনি একটি মুখরোচক ফ্রায়েড এগ স্যান্ডউইচও তৈরি করতে পারেন। তবে, এর জন্য আপনাকে অলিভ অয়েলে ডিমটি অল্প করে ভাজতে হবে। এটি আপনার খাবারটি আরও সুস্বাদু করে তুলবে।
No comments:
Post a Comment