পুলিশ তাকে চেনে 'স্পাইডারম্যান' চোর নামে। দেওয়াল যতই মসৃণ হোক না কেন, তার দরকার শুধু একটি জলের পাইপ এবং কিছু কার্নিস, এবং সে চোখের পলকে উপরে উঠে যায়। রবিউল গাজী দেওয়াল ধরে লাফিয়ে যে কোনও ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় উঠে যান। স্পাইডারম্যানের মতো জাল না রাখলেও জলের পাইপ বা কার্নিস, জানালার সাহায্যে সে সহজেই উপরে উঠে যায়।
'স্পাইডারম্যান' চোর রবিউল একইভাবে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে অতীতে শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে চুরি করতে গিয়ে তাকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। শেক্সপিয়ার সরণির একটি ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে চুরির অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। জানা গেছে, তিনি ট্যাংরা এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, কয়েকদিন আগে শেক্সপিয়ার সরণি এলাকায় বসবাসকারী এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছিলেন যে তিনি ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। তাদের ফ্ল্যাট যথেষ্ট নিরাপদ ভেবে তারা বারান্দার দরজা খুলে রেখেছিল। এসময় চোর কোনওভাবে ঘরে ঢুকে চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে ৭টি দামী মোবাইল ফোন ও সাড়ে নয় হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সময় পরিবারের লোকজন জানতেও পারেনি কখন তাদের জিনিসপত্র চুরি হয়েছে। ঘটনার পরদিন ওই ব্যক্তি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মামলার তদন্তের সময়, কলকাতা পুলিশের ডিডি আধিকারিকরা ভবন এবং এর আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করেন। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে পুলিশ রবিউল ও তার এক সহযোগীকে শনাক্ত করে।
এরপর রবিউলকে টেংরার বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। রবিউলের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত বলেছে যে সে চুরি হওয়া মোবাইলগুলো তার রিসিভারের এজেন্টদের কাছে সস্তায় বিক্রি করে। পুলিশ জানায়, বাড়ি যতই উঁচু হোক না কেন, তাতে চড়তে কোনও সমস্যা নেই রবিউলের। উঁচু বাড়িতে ওঠার আগে তার জীবনের আসক্তিও নেই। বর্তমানে পুলিশ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সে আরও কত চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানতে।
No comments:
Post a Comment