খুনের ঘটনা প্রায়ই দেখা বা শোনা যায়, তবে মাঝে মাঝে কিছু ঘটনা বেশ অবাক করার মতো। ধরুন আপনি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন আর আপনার সামনে একটা খুন হচ্ছে, আপনি কি করবেন? এটা স্পষ্ট যে আপনি অবিলম্বে সেখান থেকে বেরিয়ে যাবেন যাতে খুনি আপনার ক্ষতি না করে। যদিও কিছু লোক কিছুটা সাহসীও হয় এবং তারা দুষ্কৃতীদের মোকাবিলা করে, উত্তরপ্রদেশের বাদাউনে খুনের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি খুব অদ্ভুত ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যেটি কীভাবে ঘটতে পারে তা জেনে সবাই অবাক হয়। মানুষ বা পশু হত্যার দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া অনেক আসামিকে নিশ্চয়ই দেখেছেন, কিন্তু ইঁদুর মারার অপরাধে কাউকে গ্রেপ্তার হতে দেখেছেন কি? না, এ বিষয়টি বাদাউনে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ বিষয় হল মৃত ইঁদুরের ময়নাতদন্তও করেছে পুলিশ।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিষয়টি এমন যে, রাস্তার পাশের কালভার্টে বসে থাকা এক ব্যক্তি একটি ইঁদুর ধরেছে। তারপর তার লেজে একটি পাথর বেঁধে তাকে ড্রেনে ফেলে দেয়। এ সময় সেখান থেকে বিকেন্দ্র শর্মা নামে এক ব্যক্তি যাচ্ছিলেন। তিনি লোকটিকে তা করতে বাধা দেন, কিন্তু পাগলটি তার কথা না শুনে ইঁদুরটিকে মারার জন্য ড্রেনে ফেলে দেয়। যদিও কিছুক্ষণ পরেই বিকেন্দ্র শর্মা সেই ইঁদুরটিকে ড্রেনের ভেতর থেকে বের করে আনেন, কিন্তু ততক্ষণে ইঁদুরটি মারা গেছে। তারপর কি, রাগে ভরে উঠলেন বিকেন্দ্র শর্মা। 'কেন ইঁদুর মারলে' জানতে চাইলে অভিযুক্ত মনোজ কুমার বলেন, তিনি এভাবে ইঁদুর মারেন, মারতে থাকবেন, যা খুশি তাই করবেন।
বীরেন্দ্র শর্মা অভিযুক্তের কাছ থেকে এই কথা শুনে প্রতিরোধ করতে পারেননি এবং তিনি বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। তিনি পুলিশের কাছে ইঁদুরের ময়নাতদন্তের দাবি জানান এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পশু নিষ্ঠুরতা আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। বাদাউন পুলিশও এ বিষয়ে টুইট করে লিখেছে, 'মৃত ইঁদুরটিকে ময়নাতদন্তের জন্য বাদাউনের ভেটেরিনারি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে'।
No comments:
Post a Comment